বিশ্বের সর্বাধিক ট্র্যাক করা ফ্লাইটেই হয়তো তাইওয়ান যাচ্ছেন পেলোসি
কুয়ালামপুর থেকে উড্ডয়ন করেছে মার্কিন বিমানবাহিনীর একটি বিশেষ পরিবহন বিমান। যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি খুব সম্ভবত স্পার-১৯ নামক এ ফ্লাইটেই যাচ্ছেন তাইওয়ান সফরে। বোয়িং কোম্পানির সি-৪০সি মডেলের এই জেটটির গতিবিধিই বর্তমানে সবচেয়ে বেশি অনুসরণ করছেন ইন্টারনেট ব্যবহারকারীরা।
বিমান চলাচল ট্র্যাককারী ওয়েবসাইট ফ্ল্যাইটরেডার২৪ জানাচ্ছে, বর্তমানে তাদের প্রায় ৩ লাখ ব্যবহারকারী বিমানটির গতিপথ অনুসরণ করছে।
এর আগে তাইওয়ানের একটি সংবাদপত্র লিবার্টি টাইমস জানায়, স্থানীয় সময় রাত ১০.২০ মিনিটে পেলোসিকে বহনকারী বিমানটি সেদেশে পৌঁছাতে পারে। তবে রাজধানী তাইপের কাছে সোংশান বিমানবন্দরে পেলোসি বেসামরিক বিমানে চেপে আসবেন বলে জানানো হয় তাদের প্রতিবেদনে। ওই বিমানবন্দরে একটি সামরিক ঘাঁটিও রয়েছে।
যদিও পেলোসি কোন বিমানে করে যাচ্ছেন এমন কোনো তথ্য নিশ্চিত করেনি মার্কিন সরকারের সূত্র।
মার্কিন স্পিকারের তাইওয়ান সফর নিয়ে ক্ষুদ্ধ চীন। তাইওয়ানকে বেইজিং নিজস্ব ভূখণ্ড হিসেবেই বিবেচনা করে। এই সফরের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র সীমা ছাড়িয়ে যাচ্ছে বলেই মনে করছে এশীয় পরাশক্তিটি। যুক্তরাষ্ট্রকে এর পরিণতি নিয়েও হুঁশিয়ারি দিয়েছে।
ফ্ল্যাইটরেডার২৪ একটি বিমান চলাচল অনুসরণকারী ওয়েবসাইট। সাধারণত কয়েক হাজার ব্যবহারকারী এই সাইটে এসে যে বিমানটির গতিবিধি সম্পর্কে তাদের আগ্রহ–সেটিকে অনুসরণ করেন। অনুসরণ করা হয় জরুরি অবতরণ বা উদ্বোধনী ফ্লাইটের মতো বিশেষ ঘটনাও।
সে তুলনায়, পেলোসির সফর ঘিরে বিপুল পরিমাণ ব্যবহারকারীর আগ্রহের কথাই জানিয়েছে ওয়েবসাইটটি।
তাদের সূত্রে ব্লুমবার্গ জানিয়েছে, স্পার-১৯ ফ্লাইট স্থানীয় সময় বিকেল ৩:৪০ মিনিটে কুয়ালালামপুরের সুবাং বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়ন করেছে; তবে সরাসরি উত্তরপূর্বে তাইওয়ানের পথ ধরার পরিবর্তে বাঁক নিয়েছে বোর্নিও দ্বীপের অভিমুখে।
ফ্ল্যাইটরেডার২৪ এর তথ্যমতে, বিশ্বের সবচেয়ে অনুসরণ করা ১০টি জেট বিমানের গন্তব্যও ছিল তাইওয়ান। স্পার-১৯ এর পর আজ মঙ্গলবার (২ আগস্ট) দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ট্র্যাক করা বিমানটি ছিল চায়না এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইট, যেটি জার্কাতা থেকে তাইপে যাচ্ছিল। এটিকে প্রায় ২০ হাজার ব্যবহারকারী অনুসরণ করে।
- সূত্র: ব্লুমবার্গ