দিনাজপুরে শ্রমিক-পুলিশ সংঘর্ষ, ১১০০ জনের নামে মামলা
দিনাজপুরের বিরলে রুপালী বাংলা জুট মিলে শ্রমিকদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনায় ১১০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে পুলিশ।
এ ছাড়া এ ঘটনায় জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে পৃথক দু'টি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী সাত দিনের কমিটি তাদের প্রতিবেদন দাখিল করবে বলে জানিয়েছেন পুলিশ সুপার।
গত বুধবার রাতে বিরল উপজেলার হুসনা এলাকায় রুপালী বাংলা জুট মিলে বকেয়া বেতনের দাবিতে শ্রমিকদের বিক্ষোভ ও ভাংচুরের সময় পুলিশের সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ হয়। এ সময় পুলিশের গুলিতে একজন নিহত হন। এছাড়া আহত হয়েছেন অন্তত ১০ জন। তবে নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন বিরল থানার ওসি শেখ নাসিম হাবিব।
ওসি জানান, ওই দিন রাতে রুপালী বাংলা জুট মিলে বকেয়া বেতনের দাবিতে শ্রমিকদের বিক্ষোভ ও ভাংচুরের ঘটনায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশের সঙ্গে শ্রমিকদের সংঘর্ষ হয়। এতে তিন পুলিশ সদস্য আহত হন। বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি, ভাংচুর ও পুলিশের উপর হামলার ঘটনায় ১২ জনের নাম দিয়ে অজ্ঞাত আরও এক হাজার থেকে ১১শ' জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলার বাদী হয়েছেন বিরল থানার এস আই আবদুল কাদের।
তিনি আরও বলেন, সংঘর্ষের ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকা সবার পূর্ণাঙ্গ নাম ও ঠিকানা জোগাড় করা হচ্ছে। তবে নিহত কিংবা শ্রমিকদের পক্ষ থেকে অভিযোগ পাওয়া যায়নি। একটি ইউডি মামলা করে নিহত শ্রমিকের মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য দিনাজপুর এম. আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করা হয়েছে।
এদিকে বকেয়া বেতনের দাবিতে শ্রমিকদের বিক্ষোভ, সংঘর্ষ, পুলিশের গুলিবর্ষন ও একজন নিহতের ঘটনায় জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। জেলা পুলিশের ডিএসবি শাখার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সচিন চাকমাকে প্রধান করে এ কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির বাকী দু'জন সদস্য হলেন- অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর) হাফিজুল ইসলাম ও জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)'র ওসি এটিএম গোলাম রসুল।
এছাড়াও জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে দুই সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির প্রধান অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট শরিফুল ইসলাম ও সদস্য রয়েছেন বিরল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জিনাত রহমান।
দিনাজপুর জেলা পুলিশ সুপার আনোয়ার হোসেন বলেন, জুট মিলে ঘটনার তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির সদস্যরা আগামী সাত দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করবেন, এরপরেই প্রতিবেদনের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।