জুলাই মাসে বৈদেশিক সহায়তার অর্থছাড় বেড়েছে
অর্থবছরের শুরুতে বৈদেশিক সহায়তার অর্থছাড় বেড়েছে ৪৮.৫ শতাংশ। কিন্তু এসময়ের মধ্যে উন্নয়ন সহযোগীদের কাছ থেকে ঋণের কোনো প্রতিশ্রুতি আদায় করতে পারেনি সরকার।
তবে এই সময়ে জাতিসংঘ থেকে ১.৫৩ মিলিয়ন ডলারের একটি অনুদানের প্রতিশ্রুতি পাওয়া গেছে। অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) হালানগাদার প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
জুলাই মাসে উন্নয়ন সহযোগীরা ৪৮৮ মিলিয়ন ডলার অর্থছাড় করেছে। গত অর্থবছরের একই সময়ে যা ছিল ৩২৮.৬৬ মিলিয়ন ডলার।
ইআরডির কর্মকর্তারা জানান, গত অর্থবছরের তুলনায় বাড়লেও অর্থছাড় বাড়ানোর আরো সুযোগ ছিল।
৩৬ মন্ত্রণালয় ও বিভাগ জুলাই মাসে বৈদেশিক ঋণের কোনো অর্থছাড় করাতে পারেনি। শুরু থেকে অর্থছাড়ের গতি থাকলে অর্থবছরের শেষের দিকে লক্ষ্যমাত্রা অর্জন হতে পারে।
চলতি অর্থবছরে ১২.৩৮ বিলিয়ন ডলার বৈদেশিক সহায়তা ব্যবহারের লক্ষ্য রয়েছে সরকারের। জুলাই মাসে মোট লক্ষ্যমাত্রার ৩.৯ শতাংশ অর্থছাড় হয়েছে।
সদ্য শেষ হওয়া অর্থবছরে প্রথমবারের মতো বৈদেশিক সহায়তার অর্থছাড় ১০ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে।
প্রতিশ্রুতির বিষয়ে ইআরডির কর্মকর্তারা জানান, অর্থবছরের শুরুতে উন্নয়ন সহযোগীদের প্রতিশ্রুতি তেমন আসে না। তবে ইআরডি ইতোমধ্যে বিভিন্ন ঋণের জন্যে উন্নয়ন সহযোগীদের সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছে।
আশা করা হচ্ছে চলতি অর্থবছরে প্রতিশ্রুতি আদায় গত অর্থবছরকে ছাড়িয়ে যাবে।
কর্মকর্তারা জানান, এখনো পর্যন্ত বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পে ৫.৭৭ বিলিয়ন ডলারের ঋণের বিষয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে, যা পর্যায়ক্রমে আরো বাড়বে।
গত অর্থবছরে উন্নয়ন সহযোগীদের কাছে থেকে ৮.২০ বিলিয়ন ডলারের প্রতিশ্রুতি পাওয়া গিয়েছিল।
ইআরডির প্রতিবেদশ অনুযায়ী, জুলাই মাসে মোট অর্থছাড়ের ৭৪ শতাংশ এসেছে দ্বিপাক্তিক উন্নয়ন সহযোগীদের কাছ থেকে।
জুলাই মাসে সবচেয়ে বেশি ২০০ মিলিয়ন ডলার অর্থছাড় করেছে জাপান। এছাড়া চীনের কাছে থেকে ১০২ মিলিয়ন ডলার অর্থছাড় পাওয়া গেছে। ভারত অর্থছাড়া করেছে ৫৮.৫২ মিলিয়ন ডলার।
বহুপাক্তিক উন্নয়ন সহযোগী সংস্থার মধ্যে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক ৬৩.৭৯ মিলিয়ন ডলার এবং বিশ্বব্যাংক ছাড়া করেছে ২২ মিলিয়ন ডলার।
জুলাই মাসে সুদ ও আসল মিলিয়ে সরকার উন্নয়ন সহযোগীদের ১৭৯ মিলিয়ন ডলার পরিশোধ করেছে। যা গত অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ১৮৫ মিলিয়ন ডলার।