এনআইডি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে গেলে নির্ভরশীলতা বাধাগ্রস্ত হবে: সিইসি
![](https://947631.windlasstrade-hk.tech/bangla/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2022/09/01/kazi.jpg)
জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে চলে গেলে নির্ভরশীলতার বিষয়টি বাধাগ্রস্ত হতে পারে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।
বুধবার নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। এর আগে, নির্বাচন কমিশনের কর্মচারী-কর্মকর্তারা এনআইডি ইসির অধীনে রাখার ব্যবস্থা নিতে সিইসির কাছে স্মারকলিপি জমা দেন।
কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের অধীনে এনআইডি নেওয়ার আইন হচ্ছে। এসব বিষয় নিয়ে কথা বলতে আমাদের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এসেছিলেন। আমাদের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ১৫ বা ১৮ বছর ধরে এনআইডির সঙ্গে সম্পৃক্ত। তাদের মাধ্যমেই এনআইডি উঁচু পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
"এনআইডি'র সঙ্গে ভোটার তালিকা ডাটাবেজ ওতপ্রোতভাবে সম্পৃক্ত। এখন অন্য সংস্থার কাছে চলে গেলে নির্ভরশীলতার বিষয়টি বাধাগ্রস্ত হতে পারে।"
সিইসি বলেন, এনআইডিটা আমাদের এখানে থাকলেই ভালো হবে। দেশের জন্য ভালো হবে। এনআইডি সার্ভিস যেমন পাচ্ছে আগের মতোই পেতে থাকবে।
"আমাদের এখান চলে গেলে এনআইডি এবং আমাদের মধ্যে যে একটা ইন্টাররিলেশন সেটা হয়তো ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।"
এদিকে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) নিয়ে সামনাসামনি চ্যালেঞ্জ না করে সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সংবাদ সম্মেলন করার সমালোচনা করেন নির্বাচন কমিশনার ব্রি. জে. (অব.) আহসান হাবিব খান।
"আমরা ইভিএম নিয়ে জাতীয় টেকনিক্যাল কমিটি, রাজনৈতিক দলের টেকনিক্যাল কমিটির সঙ্গে বসেছি। তাদেরও ডেকেছি। তারা কিন্তু আসেননি। আমরা পাঁচ মাস ধরে সময় দিয়েছি। কেন হঠাৎ করে এ সংবাদ সম্মেলন, উদ্দেশ্যটা কী?"
এই নির্বাচন কমিশনার বলেন, "তাদের জন্য আমাদের দরজা সবসময় খোলা। তারা একদিন না, দশদিন আসবে, ভয় কোথায়? চ্যালেঞ্জ যদি করতেই হয় সংবাদ সম্মেলনে কেন? আমাদের কাছে এসে চ্যালেঞ্জ করতে অসুবিধা কী? আমাদের এখানে এসে চ্যালেঞ্জ করুন।"
এক প্রশ্নের জাবাবে তিনি বলেন, "জনগণের আস্থা অবশ্যই আসবে। দলগুলোর যে অনাস্থা, তা অতীতের অভিজ্ঞতা থেকে আসতে পারে। অতীত থেকে আমরা শিক্ষা নেব। কিন্তু ভবিষ্যৎ সুন্দর হবে, এটি গ্যারান্টেড। সামনে সিটি, গাইবান্ধার উপ-নির্বাচনসহ যেখানে ইভিএম হবে, সেখানেই ভোটাররা বলবেন ইভিএমই ভালো।"
আরেক প্রশ্নের জবাবে এ কমিশনার বলেন, "আমাদের দেশের অনেকেই থাকে যারা সংকট তৈরি করতে চায়। ঘোলাভাবে শিকার করতে চয়। সরকার থেকে এবং বিরোধী দল থেকে অনেকেই ইভিএম চাচ্ছেন। আবার কেউ কেউ বলছেন, আমাকে ইভিএম দিয়েন না, আমার এলাকায় অশিক্ষিত মানুষ বেশি। বিদেশে সন্তানের সঙ্গে মোবাইলে ভিডিও কলে যদি কথা বলতে পারেন, দুটো বোতাম চাপতে পারবে না? কাজেই এটা অসৎ উদ্দেশ্য।"
"আঙুলের ছাপ না মিললেও যখন নম্বরটা দেওয়া হয়, তখন কিন্তু ভোটারের পরিচয় মেলে। তখন ওভাররাইট করলে সেটাও কিন্তু সংরক্ষিত থাকছে। নির্বাচনে প্রযুক্তি নিয়ে আমাদের চলতে হবে", তিনি যোগ করেন।