টিসিবির অব্যবস্থাপনা: কনটেইনারেই পচল তুরস্ক থেকে আমদানি করা ৩০০ টন পেঁয়াজ
তুরস্ক থেকে আমদানি করা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) ১১ লট পেঁয়াজ চট্টগ্রাম বন্দরে এসে পৌঁছায় একমাস আগে। কিন্তু সময়মতো খালাস না করায় যার প্রায় ৩০০ টন এরই মধ্যে পচে নষ্ট হয়ে গেছে।
সেই পচা পেঁয়াজ ফেলা হয়েছে নগরের ইপিজেড এলাকায় টিসিবি কার্যালয়ের পাশের পুকুরপাড়ে। বিপুল পরিমাণ পচা পেঁয়াজের গন্ধে অতিষ্ঠ আশপাশের এলাকার মানুষ।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে টিসিবির চট্টগ্রাম আঞ্চলিক কার্যালয়ের ঊর্ধ্বতন কার্যনির্বাহী (অফিস প্রধান) জামাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, 'পেঁয়াজগুলো চট্টগ্রাম বন্দরে এসে পৌঁছায় আগস্ট মাসের দুই তারিখে। কিন্তু সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান ঠিকমতো কাগজপত্র সরবরাহ করতে না পারায় পেঁয়াজগুলো খালাস করতে পারেনি।
'এক সপ্তাহ আগে পেঁয়াজের চালান খালাস করে ১১ লটের মধ্যে প্রায় ৩০০ টনের মতো পেঁয়াজ নষ্ট হয়েছে। নষ্ট পেঁয়াজের দায়ভার সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের। এখানে আমাদের কোনো দায়দায়িত্ব নেই, আর্থিক ক্ষতিও নেই।'
স্থানীয়রা জানান, পুকুরপাড়ের বিশাল জায়গা জুড়ে এসব পচা পেঁয়াজ ফেলে রাখা হয়েছে। যার উৎকট দুর্গন্ধ অনেকদূর পর্যন্ত ছড়াচ্ছে।
বিপুল পরিমাণ পচা পেঁয়াজের গন্ধে এলাকায় টেকা দায় হয়ে দাঁড়িয়েছে। অসুস্থ হয়ে পড়ছে শিশুরা। অন্যদিকে বাছাই করে যতটুকু ভালো পাওয়া যাচ্ছে, তা কুড়িয়ে নিয়ে যাচ্ছে স্থানীয় শিশু-কিশোররা।
দক্ষিণ হালিশহর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর জিয়াউল হক সুমন বলেন, 'টিসিবির মতো প্রতিষ্ঠান কীভাবে এত নষ্ট পেঁয়াজ জনবহুল এলাকার মধ্যে ফেলতে পারে তা আমি বুঝতে পারছি না। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে আমরা বিষয়টি তাদের অবহিত করেছি।'
তবে টিসিবির চট্টগ্রাম আঞ্চলিক কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক সাদ্দাম হোসেন বলেন, 'আমরা নিয়মিত ব্লিচিং পাউডার ছিটিয়ে দিচ্ছি, যাতে গন্ধ আশপাশে না ছড়ায়। হয়তো কিছুদিন সময় লাগবে, এরপর গন্ধ আর থাকবে না।'