প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ভারত সফরে যাননি পররাষ্ট্রমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দিল্লি সফরে যাননি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে হাইপ্রোফাইল এই রাষ্ট্রীয় সফরে না যাওয়ার কারণ হিসেবে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর 'হেলথ ইস্যু'কে কারণ হিসেবে বলা হয়েছে।
বার্তা সংস্থা ইউএনবিকে একজন কর্মকর্তা বলেছেন, "তিনি (পররাষ্ট্রমন্ত্রী) অসুস্থতা বোধ করছেন। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে যান নি।"
উল্লেখ্য, গত কিছুদিন ধরেই নানা মন্তব্যের জন্য বিতর্কিত হয়ে আসছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
গত ১৮ আগস্ট সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম নগরীর জে এম সেন হলে জন্মাষ্টমী উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছিলেন, 'শেখ হাসিনাকে টিকিয়ে রাখতে পারলে আমাদের দেশ উন্নয়নের দিকে যাবে এবং সত্যিকারের সাম্প্রদায়িকতামুক্ত, অসাম্প্রদায়িক একটা দেশ হবে। শেখ হাসিনার সরকার টিকিয়ে রাখার জন্য যা যা করা দরকার, আমি ভারতবর্ষের সরকারকে সেটা করতে অনুরোধ করেছি।'
তার এ বক্তব্য নিয়ে তুমুল সমালোচনা শুরু হয়, বিএনপির নেতারা বলেন সরকার টিকিয়ে রাখতে বিদেশি শক্তির দ্বারস্থ হচ্ছে ক্ষমতাসীন দল। এমনকি ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের মধ্যেও মোমেনের এই মন্তব্যের বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। সুপ্রিম কোর্টের এক আইনজীবী তার পদত্যাগ চেয়ে আইনি নোটিশও পাঠান।
ঠিক তার কয়েক দিন আগেই ১২ আগস্ট তারিখে বৈশ্বিক মন্দায় অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশের মানুষ 'বেহেস্তে আছে'- পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেনের এই মন্তব্য নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা হয়।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমন্ত্রণে চার দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে আজ (৫ সেপ্টেম্বর) সকালে নয়াদিল্লির উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
ইউক্রেন সংকট, বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দা এবং চলমান কোভিড-১৯ মহামারির মধ্যে এই সফরকে খুব গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মধ্যকার আলোচনায় নিরাপত্তা সহযোগিতা, বিনিয়োগ, ক্রমবর্ধমান বাণিজ্য সম্পর্ক, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের সহযোগিতা, অভিন্ন নদীর পানি বণ্টন, পানি সম্পদ ব্যবস্থাপনা, সীমান্ত ব্যবস্থাপনা, মাদক চোরাচালান ও মানব পাচার রোধ সংক্রান্ত বিষয়গুলো অগ্রাধিকার পাবে।
দ্বিপক্ষীয় আলোচনার পর বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে পানি ব্যবস্থাপনা, রেলপথ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ও তথ্য ও সম্প্রচার বিষয়ে সাতটি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের সম্ভাবনা রয়েছে।
কোভিড-১৯ মহামারি শুরু হওয়ার আগে সর্বশেষ ২০১৯ সালে ভারত সফর করেছেন প্রধানমন্ত্রী।