কারাগারে ওসির তল্লাশি, নিরাপত্তা চেয়ে আবেদন বাবুল আক্তারের
ফেনী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নিজাম উদ্দিনের বিরুদ্ধে সেলে অভিযান চালানোর অভিযোগে সোমবার (১২ সেপ্টেম্বর) সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তার কারাগারে নিরাপত্তা চেয়ে আদালতে আবেদন করেছেন।
পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) প্রধান বনজ কুমার মজুমদার এবং অন্য পাঁচজনের বিরুদ্ধে হেফাজতে নির্যাতনের অভিযোগ আনার দুই দিন পর, শনিবার এই অভিযান চালানো হয় বলে তার আইনজীবী গোলাম মাওলা মুরাদ জানিয়েছেন।
বাবুল আক্তারের আইনজীবী টিবিএসকে বলেন, "গত শনিবার সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের ফেনী জেলা কারাগারের কক্ষে তল্লাশি চালিয়েছেন ফেনী মডেল থানার ওসি নিজাম উদ্দিন। তবে তার কক্ষে কিছুই পাওয়া যায়নি। তাকে মানসিক চাপে রাখতেই এ ধরনের কাজ করা হচ্ছে।"
চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ বেগম জেবুন্নেসার আদালতে নির্যাতন ও হেফাজতে মৃত্যু (প্রতিরোধ) আইনের ১১ ধারায় নিরাপত্তা চেয়ে আবেদন করেছেন বাবুল আক্তার।
বাদীর আইনজীবী গোলাম মাওলা বলেন, আদালত এ বিষয়ে শিগগিরই আদেশ দেবেন।
গত ৮ সেপ্টেম্বর বাবুল আক্তার পিবিআই হেফাজতে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন দাবি করে মামলার আবেদন করেন।
আদালত মামলাটি অভিযোগ হিসেবে রেকর্ড করেন এবং এ বিষয়ে আদেশের জন্য ১৯ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করেন।
মামলার আসামিরা হলেন- পিবিআই প্রধান বনজ কুমার মজুমদার, চট্টগ্রাম জেলা শাখার এসপি নাজমুল হাসান, চট্টগ্রাম মেট্রো ইউনিটের এসপি নাঈমা সুলতানা, পিবিআইয়ের সাবেক পরিদর্শক সন্তোষ কুমার চাকমা ও একেএম মহিউদ্দিন সেলিম এবং পরিদর্শক কাজী এনায়েত কবির।
বাবুল আক্তারের আইনজীবী কফিল উদ্দিন জানান, গত বছরের ১০ থেকে ১৭ মে পিবিআই চট্টগ্রাম মেট্রো ও জেলা কার্যালয়ে বাবুল আক্তারকে আটকে রেখে নির্যাতন করা হয়।
তিনি বলেন, "স্ত্রী হত্যার মামলায় মিথ্যা স্বীকারোক্তি আদায়ের জন্য বাবুল আক্তারকে অমানুষিক নির্যাতন করা হয়েছে।"
২০১৬ সালের ৫ জুন চট্টগ্রাম নগরীর জিইসি মোড় এলাকায় বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদাকে গুলি করে ও কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। হত্যা মামলায় বাবুল আক্তারকে কারাগারে পাঠানো হয়।