জুলাইতে কমেছে মোবাইল ব্যাংকিং লেনদেন, বেড়েছে কার্ডের ব্যবহার
কার্ডের লেনদেন বাড়লেও জুলাই মাসে কমেছে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের লেনদেন। চলতি বছরের জুন মাসের তুলনায় জুলাই মাসে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে ৫ হাজার ১২৪ কোটি টাকা লেনদেন কমেছে। যা প্রায় ৫.৪৩ শতাংশ কম।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে অর্থ লেনদেনের পরিমাণ যেখানে জুনে ছিল ৯৪,২৯৩ কোটি টাকা, সেখানে জুলাইতে তা নেমে আসে ৮৯,১৬৯ কোটি টাকায়।
অন্যদিকে, একই মাসে কার্ডের লেনদেন ২ শতাংশ বেড়ে ৩৮,৪৬১ কোটি টাকায় গিয়ে দাঁড়িয়েছে, যেখানে বৈদেশিক মুদ্রার লেনদেন হয়েছে ৪৪২ কোটি টাকা। ডলার সংকটের মধ্যেও বেশিরভাগ লোক বিদেশ ভ্রমণে ক্রেডিট কার্ডই বেছে নিয়েছে।
জুলাই পর্যন্ত কার্ডধারীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩ কোটি ২৪ লাখ টাকা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি বছর জুলাই মাসে মোবাইল ব্যাংকিংয়ে ক্যাশ ইন অর্থাৎ টাকা পাঠানো হয়েছে ২৫ হাজার ৭৮০ কোটি। আর উত্তোলন করা হয়েছে -ক্যাশ আউট ২৬ হাজার ২৫৩ কোটি টাকা।
এমএফএস সেবায় ব্যক্তি থেকে ব্যক্তি হিসাবে ২৪ হাজার ৩৫৩ কোটি টাকা লেনদেন হয়। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের বেতন-ভাতা বাবদ বিতরণ হয় ৩ হাজার ১৮৭ কোটি টাকা। বিভিন্ন পরিষেবার ১ হাজার ৮৫৯ কোটি টাকার বিল পরিশোধ হয় এবং কেনাকাটার ২ হাজার ৯৪৮ কোটি টাকা লেনদেন হয়।
জুলাই শেষে, মোবাইল ব্যাংকিং অ্যাকাউন্টের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৮ কোটি ১১ লাখের বেশি। এরমধ্যে ১০ কোটি ৪৩ লাখ অ্যাকাউন্টধারী পুরুষ এবং ৭ কোটি ৬৪ লাখ অ্যাকাউন্টধারী নারী। এ সময়ের মধ্যে মোট এজেন্টের সংখ্যা ছিল ১৫ লাখ ২৬ হাজার।
মোবাইল ব্যাংকিংকে উৎসাহিত করতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক সম্প্রতি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট এবং কার্ডের মাধ্যমে ক্যাশ-ইন-এর সর্বোচ্চ সীমা দৈনিক ৫০ হাজার টাকা এবং মাসিক ৩ লাখ টাকা করেছে।
২০১১ সালের শুরুর দিকে ডাচ-বাংলা ব্যাংকের উদ্যোগ রকেট চালুর মাধ্যমে মোবাইল ব্যাংকিং পরিষেবার যাত্রা শুরু হয়। বর্তমানে বিকাশ ও নগদসহ ১৩টি ব্যাংক মোবাইল আর্থিক পরিষেবা পরিচালনা করছে।