৯৭ বছর বয়সে ফের নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন মাহাথির মোহাম্মদ
মালয়েশিয়ার সাধারণ নির্বাচনে আবারও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চলেছেন দেশটির প্রবীণ রাজনীতিবিদ মাহাথির মোহাম্মদ।
এর আগে আরও দু'বার মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন তিনি। প্রথমবার ১৯৮১ থেকে ২০০৩ সাল পর্যন্ত টানা ২২ বছর ক্ষমতায় ছিলেন এবং দ্বিতীয়বার ২০১৮ সালে ৯২ বছর বয়সে আবারও তিনি প্রধানমন্ত্রীর আসনে বসেন। তবে এ সময় দলের অন্তর্দ্বন্দ্বের কারণে দুই বছরেরও কম সময় পদে থাকতে পেরেছিলেন তিনি।
চলতি বছরের শুরুতে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালের চক্কর কাটলেও আসন্ন নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মাহাথির মোহাম্মদ। বলছেন, নির্বাচনে অংশ নিতে এখন তিনি যথেষ্ট প্রস্তুত। ফলে ৯৭ বছর বয়সে আবারও পার্লামেন্ট নির্বাচনের লড়াইয়ে নেমেছেন বর্ষীয়ান এই রাজনীতিবিদ।
তবে, নির্বাচনে তার দল জয়ী হলেও তিনিই প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নেবেন কিনা তা এখনও নিশ্চিত নয়।
এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, "আমরা এখনও সিদ্ধান্ত নেইনি কে প্রধানমন্ত্রী হবেন, কারণ প্রধানমন্ত্রী প্রার্থীর বিষয়টি কেবল তখনই সামনে আসবে, যদি আমরা জয়ী হই।"
গত সোমবার মালয়েশিয়ার সংসদ ভেঙে দেওয়া হয়। দেশটির ক্ষমতাসীন জোটের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে চলা রাজনৈতিক অন্তর্দ্বন্দ্বের কারণে এ সিদ্ধান্ত নেন দেশটির বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ইসমাইল সাবরি ইয়াকুব।
ফলে আগামী বছরের সেপ্টেম্বরে মালয়েশিয়ায় সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও সংসদ ভেঙে দেওয়ায় এখন আগাম নির্বাচন হবে দেশটিতে। মালয়েশিয়ার সংবিধান অনুযায়ী, পার্লামেন্ট বিলুপ্তির ৬০ দিনের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে হবে। নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করবে দেশের নির্বাচন কমিশন।
আশা করা হচ্ছে, আগাম নির্বাচনের মাধ্যমে দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে ফের স্থিতিশীলতা আসবে।
১৯৬৪ সালে প্রথমবারের মতো সংসদ সদস্য হন মাহাথির। ১৯৮০ এর দশক থেকে মালয়েশিয়ার দ্রুত অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং রূপান্তরের জন্য তাকে কৃতিত্ব দেওয়া হয়।
২০১৮ সালে দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত সাবেক প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজাককে সরাতে আবারও নির্বাচনে অংশ নেন তিনি। এক সময়ের রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী আনোয়ার ইব্রাহিমের সহায়তায় ২০১৮ সালে নির্বাচনে জিতে আবারও দেশটির প্রধানমন্ত্রী হন মাহাথির। তবে, ক্ষমতাসীন জোটের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বের কারণে ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে প্রধানমন্ত্রীত্ব থেকে পদত্যাগ করেন তিনি।
- সূত্র: বিবিসি