টিসিবি’র ১ কোটি ফ্যামিলি কার্ডে বছরে ব্যয় হবে ৫২৮০ কোটি টাকা: বাণিজ্য সচিব
ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)- এর উদ্যোগে ফ্যামিলি কার্ডের মাধ্যমে এক কোটি পরিবারকে ভর্তুকি মূল্যে খাদ্য সহায়তা দেওয়ার জন্য সরকারের বছরে ৫২৮০ কোটি টাকা ব্যয় হবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য মন্ত্রনালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ।
বৃহস্পতিবার রাতে রাজধানীর একটি হোটেলে এক সেমিনারে বক্তব্য প্রদানকালে তিনি এ কথা বলেন।
'এক্সপোর্ট ডাইভারসিফিকেশন ইম্পারেটিভ: কী সেক্টোরাল অপরচ্যুনিটিস অ্যান্ড পলিসি প্রায়োরিটিস ফর বাংলাদেশ' শীর্ষক ওই সেমিনারের আয়োজন করে পলিসি এক্সচেঞ্জ বাংলাদেশ।
সেমিনার শেষে দ্য বিজনেস স্ট্যান্টার্ডের সঙ্গে আলাপকালে বাণিজ্য সচিব বলেন, "আমাদের প্রাথমিক হিসাবে এ তথ্য এসেছে। পণ্যের দাম বাড়লে বা কমলে এ পরিসংখ্যানেও পরিবর্তন আসতে পারে।"
গত আগস্টে সরকার নির্ধারিত ডিলারের মাধ্যমে ফ্যামিলি কার্ডধারীদের কাছে ভর্তুকি মূল্যে পণ্য বিক্রির কার্যক্রম শুরু করে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন টিসিবি।
টিসিবির কার্ডধারীরা সর্বোচ্চ দুই লিটার সয়াবিন তেল, দুই কেজি মসুর ডাল, এক কেজি চিনি ও দুই কেজি পেঁয়াজ কিনতে পারবেন। এ কার্যক্রম শুরুর পর ট্রাকের মাধ্যমে পণ্য বিক্রি থেকে সরে এসেছে সরকার।
রপ্তানি পণ্য ডাইভারসিফিকেশন নিয়ে আয়োজিত ওই সেমিনারে অর্থনীতিবিদ, খাত সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞ এবং সরকারি অফিসের প্রতিনিধিরা তাদের মতামত তুলে ধরেন।
সেমিনারে ব্যবসায়ী নেতারা দেশের রপ্তানি বাণিজ্যকে টেকসই করার লক্ষ্যে প্রোডাক্ট ডাইভারসিফিকেশনে গুরুত্ব দেন। এক্ষেত্রে বিদ্যমান চ্যালেঞ্জগুলো তুলে ধরে তারা বলেন, দীর্ঘদিন ধরে এটি নিয়ে কথা হলেও কাজ হচ্ছে না।
আলোচনায় অংশ নিয়ে বাণিজ্য সচিব বলেন, "বাংলাদেশে ব্যবসা করা অত্যন্ত কঠিন। হয়ত আত্নসমালোচনা হয়ে যাবে, কিন্তু এটা মানতে হবে।"
তিনি বলেন, "আমরা কম্পিটিটিভ এনভায়রনমেন্ট তৈরি করতে পারছি না। বড়রা সুবিধা নিলেও ছোটরা (অপেক্ষাকৃত ছোট খাত) সুবিধা নিতে পারছে না।"
এ সময় তিনি বলেন, ব্যবসা শুরু করার জন্য এতকিছুর বদলে ন্যাশনাল আইডি (এনআইডি) দিয়েই অনুমোদন পাওয়া উচিত।
পলিসি রিসার্চ ইন্সটিটিউটের এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর আহসান এইচ মনসুর বলেন, "বাংলাদেশে ডাইভারসিফিকেশনের মূল বাধা শর্টেজ অব ক্যাপিটাল ও ফ্ল্যাগশিপ ইন্ডাস্ট্রিতে এফডিআই না আসা।"
মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনকালে পলিসি এক্সচেঞ্জ বাংলাদেশ এর চেয়ারম্যান ড. এম মাসরুর রিয়াজ বাংলাদেশের আরএমজি'র বাইরে হাই পটেনশিয়াল ১৪টি খাতের তথ্য উল্লেখ করার পাশাপাশি চ্যালেঞ্জ তুলে ধরেন।