বন্ধ হয়ে গেল জেড-লাইব্রেরি, তৃতীয় বিশ্বের পাঠক-গবেষকদের মাথায় হাত!
অনলাইনে পাইরেটেড বই ও নিবন্ধের অন্যতম বৃহৎ সংগ্রহশালা জেড-লাইব্রেরি বন্ধ হয়ে গেছে। এবার সম্ভবত একবারেই বন্ধ হয়ে গেছে সংগ্রহশালাটি। টরেন্টফ্রিকের বরাত দিয়ে ভাইস ডটকম জানিয়েছে, এফবিআই জেড-লাইব্রেরির বেশ অনেকগুলো ডোমেইন বন্ধ করে দিয়েছে। সংগ্রহশালাটির মূল পেজও বাজেয়াপ্ত করেছে এফবিআই।
জেড-লাইব্রেরি ছিল একটি ছায়া লাইব্রেরি প্রকল্প। এখানে স্কলারলি জার্নাল, একাডেমিক টেক্সট এবং ফিকশন ও নন-ফিকশন বই পাওয়া যেত। অর্থ দিয়ে পড়তে হতো এমন ১১ মিলিয়নের বেশি বই ও ৮০ মিলিয়নের বেশি নিবন্ধ ইবই আকারে বিনামূল্যে পাওয়া যেত এই সংগ্রহশালায়।
জেড-লাইব্রেরি কপালে এই দুর্ভোগ নেমে এসেছে মূলত টিকটকের কারণে। টিকটকে হ্যাশট্যাগ #জেডলাইব্রেরি সংবলিত বিভিন্ন কনটেন্ট ১৯ মিলিয়ন ভিউ পায়। ফ্রি ইবই পাওয়ার প্ল্যাটফর্মটির প্রচারণা চালানোর জন্য স্কুলের শিক্ষার্থীসহ অন্যরা এই হ্যাশট্যাগ সংবলিত ভিডিও আপলোড করেন টিকটকে। এরপরই জেড-লাইব্রেরির বিরুদ্ধে ইউএস ট্রেড রিপ্রেজেন্টেটিভ-এর কাছে অভিযোগ জানায় অথরস গিল্ড।
লেখক ও প্রকাশকদের কাছ থেকে জেড-লাইব্রেরির বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়ার পরই এ পদক্ষেপ নিল এফবিআই।
পাইরেটেড বইয়ের সংগ্রহশালা হলেও, জেড-লাইব্রেরির ওপর নির্ভরশীল ছিলেন অগুনতি শিক্ষার্থী ও গবেষক।
সাম্প্রতিক কিছু জরিপে দেখা গেছে, যেসব দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণার উৎস ও স্কলারলি জার্নালে সাবস্ক্রিপশন অপ্রতুল, সেখানে গবেষকরা ছায়া লাইব্রেরির ওপর বেশি নির্ভরশীল হয়ে থাকেন।