ই-টিকিটে ভাড়ার পূর্ণাঙ্গ তথ্য ও পরিবহন খাতের সংস্কার চায় যাত্রী কল্যাণ সমিতি
আধুনিক গণপরিবহন সেবায় ই-টিকেটিং ব্যবস্থাকে স্বাগত জানিয়ে যাত্রী কল্যাণ সমিতি নিয়ম অনুযায়ী ই-টিকিটে সরকার নির্ধারিত ভাড়ার পূর্ণাঙ্গ তথ্য সংযোজনের দাবি করে।
তাদের মতে, পরিবহন খাতে দীর্ঘ দিনের পুঞ্জিভূত সমস্যা সমাধানের পাশাপাশি এই খাতের আমূল সংস্কার করা না গেলে ই-টিকেটিং সিস্টেমে সিটিবাস সার্ভিস ব্যবস্থা টিকিয়ে রাখা সম্ভব হবে না। যানজট, চাদাঁবাজিসহ নানা কারণে দীর্ঘদিন সিটি সার্ভিসের বাস খাতে নতুন বিনিয়োগ আসছে না। ফলে লোকসানের কারণে এই খাত আগামী দিনে গভীর সংকটে পড়ার আশংকা রয়েছে।
তাদের দাবি, প্রতিটি টিকিটে টিকিট প্রদানকারী বাসের নাম, বাসের নিবন্ধন নাম্বার, যাত্রা ও গন্তব্যের নাম, দূরত্ব, ভাড়ার অংক, ভ্রমণ তারিখ ও অভিযোগ কেন্দ্রের নাম্বার সমূহ থাকার কথা থাকলেও বর্তমানে প্রদত্ত ই-টিকেটিং ব্যবস্থায় এসব পূর্ণাঙ্গ তথ্য নেই। কোন কোন টিকিটে শুধুমাত্র ভাড়ার অংক লেখা রয়েছে।
ফলে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করা হলে যাত্রীদের প্রতিকার পাওয়ার কোন সুযোগ নেই, তারা যোগ করেন।
বৃহস্পতিবার (২৪ নভেম্বর) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি হলে "ঢাকা সিটিবাস সার্ভিসে ই-টিকিটিং: যাত্রীদের প্রত্যাশা" শীর্ষক বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি আয়োজিত এক আলোচনা সভায় বক্তারা উপরোক্ত মন্তব্য করেন।
যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, 'টিকিট মানে সেবা মূল্যের রশিদ। আন্তর্জাতিক ক্রেতা-ভোক্তা অধিকার আইন অনুযায়ী প্রতিটি পণ্য বা সেবামূল্যের রশিদ প্রদানের বাধ্যবাধকতা রয়েছে।'
তিনি আরো বলেন, ভাড়া নির্ধারণের শর্ত অনুযায়ী চালক-সহকারীর নিয়োগপত্র, বেতন ও ওভারটাইম নিশ্চিত করা জরুরী। লক্কড়-ঝক্কড় বাস উচ্ছেদ করে, বাসের সার্বিক পরিবেশ উন্নত করে, সিটি সার্ভিস আধুনিক বিশ্বের আদলে গড়ে তোলা গেলে, সরকার নির্ধারিত ভাড়া কার্যকর করে বাসের জন্য আলাদা ডেডিকেটেড লেনের ব্যবস্থাসহ নানামুখী সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা হলে মানুষ ধীরে ধীরে বাসমুখী হবে।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথোরিটির (বিআরটিএ) ঢাকা বিভাগের (ইঞ্জিনিয়ারিং) উপ-পরিচালক স্বদেশ কুমার দাশ বলেন, 'বিআরটিএ রাজধানীর বাসে সরকার নির্ধারিত ভাড়া কার্যকর করার লক্ষ্যে নিয়মিত মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে আসছে। আগামীতে এই কার্যক্রম আরো জোরদার করা হবে।'