ক্যাম্পাসগুলো হোক বাংলার পাখি সংরক্ষণে অভয়ারণ্য
আয়তনের দিক থেকে সবুজে ঘেরা আর জীববৈচিত্র্য পরিপূর্ণ বাংলাদেশ অনেক ছোট হলেও সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে এদেশের জনসংখ্যা। এদেশের অতিরিক্ত জনসংখ্যার অতিরিক্ত খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থানসহ নানান মৌলিক চাহিদা পূরণের জন্য সরবরাহ দরকার—যার অধিকাংশই আসছে প্রাকৃতিক পরিবেশ থেকে। দুঃখজনক হলেও বন ধ্বংস করে। বন্যপ্রাণী বিশেষ করে পাখিদের আবাসস্থল ধ্বংস করে। আর আমাদের দেশে যে সংরক্ষিত বন রয়েছে, তা কি যথেষ্ট পাখি সংরক্ষণে? সংরক্ষিত এলাকার বাইরেও পাখি সংরক্ষণে আমাদের দিতে হবে গুরুত্ব।
পৃথিবীর সুন্দরতম প্রাণীদের অন্যতম হলো বিভিন্ন রং, বর্ণের, আকৃতির, সুরের দশ হাজারের ওপরের প্রজাতির পাখিরা। আর তারা তাদের অভিযোজনগুণে ছড়িয়ে পড়েছে পুরো পৃথিবীতে। প্রকৃতিক সৌন্দর্যে ঐশ্বর্যময়ী বাংলাদেশ পাখিদের প্রজাতিগত দিক দিয়েও পৃথিবীর অন্যান্য অনেক দেশ থেকে সমৃদ্ধ। বর্তমানে ৭০০ প্রজাতির অধিক পাখির বিচরণ বাংলাদেশে। তার সঙ্গে প্রতিবছর নতুন করে যুক্ত হচ্ছে আরও নতুন নতুন প্রজাতির পাখি।
বাংলাদেশের মোট বনের মাত্র ১০.৭ শতাংশ সংরক্ষিত বনাঞ্চল। এর মধ্যে ১৯টি জাতীয় উদ্যান, ২৪টি বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য, ২টি বিশেষ জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ এলাকা, ২টি সামুদ্রিক রক্ষিত এলাকা, ২টি শকুনের নিরাপদ এলাকা, ২টি উদ্ভিদ উদ্যান, ২টি সাফারি পার্ক, ১০টি ইকোপার্ক, ১টি এভিয়ারি পার্ক। এছাড়া পরিবেশ অধিদপ্তর থেকে ১২টি পরিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকা ঘোষিত রয়েছে। বার্ড লাইফ ইন্টারন্যাশনাল থেকে ২০টি এলাকাকে পাখি ও জীববৈচিত্র্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ এলাকা হিসাব চিহ্নিত করা হয়েছে, যার একটি বড় অংশ সংরক্ষিত বনাঞ্চলকেন্দ্রিক।
আইইউসিএন বাংলাদেশের ২০১৫ সালের প্রকাশিত লাল তালিকা বইয়ের তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশ থেকে ১৯টি পাখি বিলুপ্ত আর ৩৯টি পাখি বিলুপ্তির পথে। আর এই ৩৯টি পাখির একটি বড় অংশ সংরক্ষিত এলাকার বাইরে বিচরণ করে।
কাজেই সংরক্ষিত এলাকার বাইরে পাখি সংরক্ষণে গুরুত্ব দেওয়া খুবই জরুরি। আর এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ ক্যাম্পাস বা বড় আবাসিক এলাকাগুলো।
২০১৫ সালে মেহেরপুর পৌর কলেজ থেকে জর্ডানের হরবোলা, কিংবা ২০২১-এ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস থেকে প্রাপ্ত কলিপেঁচা এটাই নির্দেশ করে যে, আমাদের ক্যাম্পাস এলাকাগুলো কতটা সমৃদ্ধ পাখিদের জন্য।
চলুন দেখে আসি কী অবস্থা ক্যাম্পাসের পাখিদের।
এলসভিয়ার নামক প্রকাশনা সংস্থা কর্তৃক প্রকাশিত 'আরবান ফরেস্ট্রি অ্যান্ড আরবান গ্রিনিং' নামক জার্নালে, 'ইউনিভার্সিটি ক্যাম্পাসেস অ্যাজ ভ্যালুয়েবল রিসোর্সেস ফর আরবান বায়োডাইভারসিটি রিসার্চ অ্যান্ড কনজারভেশন' শীর্ষক একটি গবেষণাপত্র প্রকাশ করা হয়। সেখানে চীন ও ভারতের ৩০০ বিশ্ববিদ্যালয়ের জীববৈচিত্র্যের ওপর একটি গবেষণা করা হয় এবং এই ক্যাম্পাসগুলো জীববৈচিত্র্য তথা পাখি সংরক্ষণে কতটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে, তা নির্দেশ করা হয়। বিশেষ করে শহরাঞ্চলের বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসগুলো এক্ষেত্রে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।
চলুন, আমাদের তিলত্তমা নগরী ঢাকার প্রাণকেন্দ্রের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পাখিদের গল্প জেনে আসি। কী মনে হয়, ইট-কাঠের দূষিত এই শহরে থাকতে পারে কাক চিল বাদে আর কোন পাখি?
বিগত ১০ বছরে প্রকাশিত বিভিন্ন গবেষণা থেকে দেখা যায়, সর্বমোট ৯৬ প্রজাতির পাখির বসবাস এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে। আর সম্প্রতি প্রকাশিত আমাদের একটি গবেষণায় দেখা যায়, ২০১৭ থেকে ২০২০ সালে ছিল ৭০ প্রজাতির পাখি।
পাখিদের মধ্যে, টিয়া, চিল, ময়না, চড়ুই, বাতাসি, কাকেদের সংখ্যাই সবথেকে বেশি। টিয়াদের সংখ্যা সবথেকে বেশি থাকার কারণ ক্যাম্পাসে বিদ্যমান বিভিন্ন বুনো বড় গাছের সমাহার। চিলেরাও ব্যাবহার করে এইসব বড় বড় গাছ—এবং ক্যাম্পাসে বিদ্যমান রয়েছে বেশ কিছু ভুবন চিলের বড় কলোনি। রয়েছে ৪ প্রজাতির টিয়া, ৪ প্রজাতির পেঁচা, ২ প্রজাতির চিল, ২ প্রজাতির মৌটুসী, ২ প্রজাতির মাছরাঙা, কালোমাথা বেনেবউ, দোয়েল, কোকিল, পাপিয়া, ঘুঘু, বুলবুলি, খয়রা হাঁড়িচাচা, সবুজ সুইচোরা, খঞ্জনসহ বিভিন্ন প্রজাতির পাখি।
ঢাকা শহরের খুব কাছেই জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস, যা অতিথি পাখিদের বিচরণের জন্য সারা দেশে পরিচিত। আর বিশ্ববিদ্যালয়টির ক্যাম্পাস পাখিদের সংরক্ষণে অনুকরণীয় ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে। শীত এলেই এখানে অতিথি পাখি দেখার জন্য আসে নানা শ্রেণি, পেশা, বয়সের মানুষ। ই-বার্ড-এর তথ্য অনুযায়ী, এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে ১৯৭ প্রজাতির পাখির তথ্য পাওয়া যায়।
২০০৮ সালে প্রকাশিত একটি গবেষণাপত্র হতে ১৮০ প্রজাতির পাখি চিহ্নিত হয় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে। বিভিন্ন প্রজাতির দেশি ও পরিযায়ী বুনোহাঁস এই ক্যাম্পাসের প্রধান আকর্ষণ। সরালি, বড় সরালি, পিয়াং হাঁস, উত্তুরে খুন্তি হাঁস, ল্যাঞ্জা হাঁস, বৈরাগী হাঁস, ফুলরি হাঁস, বালি হাঁস, পাতারি হাঁস বুনোহাঁস এর মধ্যে অন্যতম। এছাড়া, ছোট ডুবরি, ডাহুক, জলপিপি, পানকৌড়ি, গ্রেটার স্কাব, শামুকভাঙা, বগা, বগলা, কালোমাথা কাস্তেচরা অন্যতম। আছে খয়রাপাখ কোকিল, মালকোহা, ৪ প্রজাতির মাছরাঙা, শিকরা, পেরিগ্রিন ফ্যালকন, লাল মাথা ফ্যালকন, মাছমুড়াল, মেছো ঈগল, বড় গুটি ঈগলসহ বিভিন্ন প্রজাতির শিকারী পাখি। আছে ৫ প্রজাতির পেঁচা।
বড় বড় জলাশয়, আর বিশাল প্রাকৃতিক পরিবেশ এবং বন্যপ্রাণীবিষয়ক শিক্ষক, গবেষক, ছাত্রছাত্রী ও বন্যপ্রাণীপ্রেমীদের কার্যক্রমে পাখপাখালিদের কলকাকলীতে মুখরিত জাহাঙ্গীরনগর ক্যাম্পাস। সাথে সাথে এদের সৌন্দর্যে মোহনীয় ক্যাম্পাসের পরিবেশ।
বাংলাদেশের পাহাড়ি মায়ায়, ঐশ্বর্যে আর সৌন্দর্যে সমৃদ্ধ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস। প্রাকৃতিক সম্পদ, জীববৈচিত্র্যে সমৃদ্ধ অনন্য এক ক্যাম্পাস। ২০১৭ সালে প্রকাশিত একটি গবেষণাপত্র অনুযায়ী, এ ক্যাম্পাসে ২১৫ প্রজাতির পাখির তথ্য নথিভুক্ত করা হয়। এখানে আরও উল্লেখ করা হয়, পাখিদের মধ্যে ৫১ প্রজাতি পরিযায়ী। তবে আগে বিভিন্ন গবেষণায় পাওয়া গেছে এমন ৩৯ প্রজাতির পাখি এই গবেষণায় আর দেখা যায়নি।
বনমুরগি, মথুরা, পাকরা ধনেশ, লালমাথা কুচকুচি, নীলদাড়ি সুইচোর, খয়রাপাখ পাপিয়া, বাসন্তী লটকন টিয়া, শকুন, নীলঘার সুমচা, নীল ডানা হরবোলা, এশীয় নীলপরি, বিভিন্ন প্রজাতির খঞ্জন, বুলবুলি, মৌটুসী ও ফুলঝুরিসহ অসংখ্য পাখির দেখা মেলে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশের অন্যতম পুরোনো বিশ্ববিদ্যালয়। বিশাল সবুজ এই ক্যাম্পাস হরেক দেশি গাছপালায় পরিপূর্ণ। রয়েছে প্রাকৃতিক পরিবেশের পরিপূর্ণতা। ২০২১ সালে কলিপেঁচার দেখা প্রথমবারের মতো বাংলাদেশে দেখা মেলে এই ক্যাম্পাস থেকে। বোঝাই যাচ্ছে পাখিদের উপস্থিতিতে কতটা সমৃদ্ধ এই ক্যাম্পাস।
২০০৮ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত পাখির ওপর এক বিস্তৃত গবেষণায় ১৫৯ প্রজাতির পাখির তথ্য উঠে আসে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে, যা ২০১২ সালে পূর্ণাঙ্গ গবেষণা পত্র আকারে প্রকাশিত হয়। এই পাখিদের ৩৮ প্রজাতি পরিযায়ী। টিকি হাঁস, বিভিন্ন ধরনের সৈকত পাখি, শাহীন, পানকৌড়ি, গয়ার, বগা, বগলা, বক, শামুকভাঙা, কসাই, প্রিনিয়া, বামুনী কাঠশালিক, চুকটি, খঞ্জন, তুলিকা, মুনিয়া এখানকার উল্লেখযোগ্য পাখি। এছাড়া কিছুদিন আগে নকতা হাঁসের উপস্থিতির খবর পাওয়া গেছে। আছে কুড়া ঈগলও।
বাংলাদেশের অন্যতম একটি বড় বিশ্ববিদ্যালয় হলো ময়মনসিংহে অবস্থিত বাংলাদেশে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়। এখানে রয়েছে সবুজে ঘেরা প্রাকৃতিক পরিবেশ, দেশি গাছপালা, ফলের বাগান, কৃষি জমি, ব্রহ্মপুত্র নদীর অববাহিকাসহ সমৃদ্ধ এক পরিবেশ।
সম্প্রতি আমার একটি গবেষণায় দেখা গেছে, এখানে ১৭০ প্রজাতির পাখি রয়েছে, খুব শীঘ্রই এটি প্রকাশিত হবে। বিভিন্ন প্রজাতির ঈগল, কোয়েল, বুনোহাঁস, পেঁচা, সৈকত পাখি, খঞ্জন, মৌটুসী, হরবোলা, ময়না, টিয়া ইত্যাদি পাখিতে পরিপূর্ণ এই ক্যাম্পাস।
সমস্ত তথ্য যদি এক করি, তাহলে দেখা যাবে এখন পর্যন্ত প্রকাশিত গবেষণাপত্রগুলো অনুযায়ী, ৩০০ প্রজাতির অধিক পাখির বসবাস শুধু এই ৫টি ক্যাম্পাসেই। যা দেশের মোট পাখির প্রজাতির প্রায় ৪৪ শতাংশ এবং আইইউসিএনের তালিকা অনুযায়ী অনেক বিপদাপন্ন এবং বিরল পাখির বসবাস এই ক্যাম্পাসগুলোতে। এখন যদি সারা দেশের সবগুলো ক্যাম্পাসের কথা চিন্তা করি, তাহলে সংখ্যাটা অনেক বড় আকার ধারণ করবে।
শুধু কি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস, বিভিন্ন আবাসিক এলাকা, অফিস এলাকা, মানে শহরাঞ্চলের তুলনামূলক একটু সবুজ এলাকা কতটা গুরুত্ব বহন করতে পারে পাখি সংরক্ষণে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
এই গবেষণাগুলো হচ্ছে ওইসব সকল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধীনে। আর বাংলাদেশে মাত্র ৬টি বিশ্ববিদ্যালয়ে এই বিষয়ে পাঠদান করা হয়, এবং সংশ্লিষ্ট বিষয়ের শিক্ষার্থী ও শিক্ষকবৃন্দই ব্যাপার গুলো সামনে নিয়ে আসছেন, যা থেকে তৈরি হচ্ছে জনসচেতনতা।
যেমন, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগ প্রতিবছর পাখি মেলার আয়োজন করছে, যা ক্যাম্পাসসহ সারা দেশে পাখি সংরক্ষণে জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করছে। এছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের উদ্যোগে বিশ্ব পরিযায়ী পাখি দিবস, জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ দিবস, পরিবেশ দিবস, জলাভূমি সংরক্ষণ দিবস, নগর বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ কার্যক্রমসহ নানান দিবসের আয়োজন করা হয় যা পারিযায়ী পাখি, দেশি পাখি তথা জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এছাড়া চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রতি বছর আয়োজন করে আসছে বিশ্ব বন্যপ্রাণী দিবস।
তবে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজগুলোতে বর্তমানে জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে বিভিন্ন ক্লাব কাজ করছে, যারা ওই এলাকার বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে নিয়মিত।
এখন যে জিনিসগুলো দরকার তার মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো ক্যাম্পাসগুলোর প্রকৃতিক পরিবেশ রক্ষা করা। পাখিদের আবাসস্থল সংরক্ষণে গুরুত্ব দেওয়া, জলাশয়, প্রাকৃতিক বন, দেশি বুনো গাছ রক্ষা করা। ক্যাম্পাসে নতুন স্থাপনা নির্মাণকালীন সময়ে পরিবেশের স্বাভাবিক অবস্থা ও সুস্থতা রক্ষায় সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া। ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের মধ্যে জনসচেতনতা তৈরি করা। দেশি বুনো গাছ রক্ষা করা। বিস্তৃত পরিসরে গবেষণা। আর এর মাধ্যমেই ক্যাম্পাসগুলো হতে পারবে পাখি সংরক্ষণে অভয়ারণ্য আর সংরক্ষিত এলাকার বিকল্প।
-
আশিকুর রহমান সমী: বন্যপ্রাণী পরিবেশবিদ, সেন্টার ফর এনভায়রনমেন্টাল এন্ড জিওগ্রাফিকাল ইনফরমেশন সার্ভিসেস (সিইজিআইএস), বাংলাদেশ