বিটিএস আর্মি: যুদ্ধ ছাড়াই যে দল বাংলাদেশসহ বিশ্বজুড়ে রাজত্ব করছে
দেশের প্রতিরক্ষা নিশ্চিতে কাজ করে সশস্ত্র আর্মিরা। তবে এর বাইরেও একদল লোক রয়েছে যাদের কাছে অস্ত্র, বোমা-বারুদ ও যুদ্ধ বিমানের কিছুই নেই, তবু তারা নিজেদের আর্মি বলে দাবি করছে। বর্তমান প্রজন্মের একদল তরুণ-তরুণী এই আর্মির মূল পরিচালনাকারী ও সদস্য। যুদ্ধ-বিদ্রোহ, মারামারি বা সংঘাত নয়—এই আর্মি দলের সদস্যরা নাচ, গান, সামাজিক ও বিনোদনমূলক নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে থাকে।
দক্ষিণ কোরিয়ার বিখ্যাত ব্যান্ডদল 'বিটিএস'-এর ভক্তরা নিজেদেরকে 'বিটিএস আর্মি' বলে পরিচয় দেয়। বিটিএসভক্ত আর্মিদের সংখ্যা সারাবিশ্বজুড়েই রয়েছে। বয়েজ ব্যান্ড গানের এই দলটি অল্প সময়ের মধ্যে পশ্চিমা ব্যান্ডগুলোকে পেছনে ফেলে পুরো বিশ্বে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।
বাংলাদেশেও বিটিএসভক্তের সংখ্যাটা নিছক কম না। ভক্তদের এক করতে এবং বিটিএস ব্যান্ড নিয়ে নানা কার্যক্রম পরিচালনা করতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কয়েকটি গ্রুপ খোলা হয়েছে। গ্রুপগুলোর মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশ বিটিএস আর্মি অফিসিয়াল ফ্যান ক্লাব, বিটিএসে যা যা দেখেছি ও শুনেছি, বোরাহে বিডি আর্মি, বাংলাদেশ বিটিএস আর্মি অফিসিয়াল স্ট্রিমিং অ্যান্ড ভোটিং আপডেট ক্লাব, ওয়েভার্সবিডিসহ ইত্যাদি। প্রতিটি গ্রুপ এবং দেশের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা ভক্তরা মিলে বাংলাদেশে প্রায় ১ লাখ বিটিএস আর্মি রয়েছে। অনেকেরই অবাক লাগতে পারে, এত স্বল্প সময়ে এমন বিপুলসংখ্যক তরুণের মাঝে জনপ্রিয় কীভাবে হয়ে উঠল 'বিটিএস'?
'বিটিএস' এক উন্মাদনার নাম
২০১৩ সালে বিটিএস তাদের প্রথম গানের অ্যালবাম প্রকাশ করে। ২০১০ সাল থেকে গানের জগতে তাদের যাত্রা শুরু হলেও, এই ব্যান্ড দলটি বিশ্বব্যাপী ২০১৭ সালে জনপ্রিয়তা পায়। ৭ জন ছেলে সদস্য রয়েছে 'বিটিএস' ব্যান্ডদলে। যাদের নাচ, গান ও সুদর্শন চেহারার প্রেমে মত্ত হয়েছে সারা বিশ্বের অগণিত নারীভক্ত। বিটিএসের এই তারকারা মেয়েদের মতো মেকআপ ও সাজে নিলেও তাদের ভক্তের তালিকায় নারীর সংখ্যাই বেশি। মেকআপ, দাড়ি-গোঁফবিহীন টানটান ফর্সা ত্বক ও লিপস্টিকই যেন তাদেরকে নারীভক্তদের কাছে আরও আকর্ষণীয় ও সুদর্শন পুরুষে পরিণত করেছে। তাই তো বিশ্বের সবচেয়ে আকর্ষণীয় পুরুষের তালিকার শীর্ষস্থানে থাকে বিটিএস ব্যান্ডের তারকাদের নাম।
বিটিএস ব্যান্ডদলটির ৭ সদস্য হচ্ছেন—জিমিন, জিন, জ্যাংকক, জে-হোপ, আরএম, সুগা ও ভি। সদস্যদের প্রত্যকে তাদের নিজস্ব পারদর্শিতার জন্য পরিচিত ও জনপ্রিয়। সাত তরুণের এই ব্যান্ডের সদস্যরা গানের সাথে তাল মিলিয়ে একযোগে নাচ করেন। ভক্তরা তাদের গানের সাথে একইরকম অনুকরণে নাচ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলো তা হরহামেশাই ছড়িয়ে দিচ্ছে। উঠতি বয়সের ছেলেমেয়েদের কাছে বিটিএস এক উন্মাদনা ও আবেগের জায়গা। তাদের ব্যাগ, ঘড়ি, মাস্ক, মোবাইলের কভার থেকে টিশার্ট কোনোকিছু বাদ নেই যেখানে বিটিএস লোগো বা বিটিএসের সদস্যদের ছবি থাকে না। এটি একরকম হালের ফ্যাশন ও ট্রেন্ড হয়ে দাঁড়িয়েছে বলা চলে। কেউ কেউ আবার না জেনেই এই ট্রেন্ডের সাথে তাল মেলাতে গা ভাসাচ্ছেন।
কীভাবে আর্মি হয়ে উঠল
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও টিকটকে তরুণ-তরুণীরা একরকম গর্বের সাথেই নিজেদের বিটিএস আর্মি দাবি করে। কিন্তু আর্মি নামকরণের কারণ জানা নেই অনেকেরই। তারা অন্য ব্যান্ডদলের ভক্তদের ঠাট্টা করতেও ছাড়ছে না। তারাই সেরা বা তাদের সেলিব্রেটি ব্যান্ড দলটি সেরা—এটা প্রতিষ্ঠিত করতে প্রায়ই এই ভক্তদের মধ্যে অনলাইনে বাকবিতণ্ডা হয়।
বিটিএসভক্ত ও 'বাংলাদেশ বিটিএস আর্মি অফিসিয়াল ফ্যান ক্লাবের' অ্যাডমিন মাইশা খান বলেন, 'প্রতিটি সেলিব্রেটি তাদের ফ্যানডমকে (ভক্তদের) একটি নাম দিয়ে থাকে। যেমন আমেরিকান শিল্পী সেলেনা গোমেজের ভক্তদের ডাকা হয় 'সেলেনাটরস', কেটি প্যারির ভক্তদের ডাকা হয় 'কেটিক্যাট', ওয়ান ডিরেকশন ব্যান্ডের ভক্তদের ডাকা হয় 'ডিরেকশনারস'। তেমনি বিটিএস তার ভক্তদের নাম দিয়েছে 'আর্মি'। এই আর্মিকে অনেকে সেনাবাহিনী আর্মির সাথে গুলিয়ে ফেলে। কিন্তু এটার পুরো অর্থ হচ্ছে, Adorable Representative M.C for Youth।
'আর্মিরা যেমন একত্রিত হয়ে যুদ্ধ করে, তেমনি বিটিএসভক্তরা যেকোনো অনুষ্ঠান আয়োজন ও সামাজিক কর্মকাণ্ড এবং অন্যদের সহায়তা করতে একত্রিত হয়ে নানারকম কার্যক্রম পরিচালনা করে। বেশিরভাগ লোক না বুঝেই বিটিএস আর্মিদের নিয়ে হাসি-তামাশা করে। এর একটা কারণ হতে পারে টিকটকে বিটিএসদের নিয়ে আপলোড করা বিভিন্ন হাস্যকর ভিডিও। নতুন ভক্তরা বিটিএসের গান ঠিকমতো না শুনেই নিজেদের আর্মি দাবি করে। বিটিএস ব্যান্ড সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণা না থাকায়, তারা বিটিএসকে ভিন্নভাবে উপস্থাপন করছে, যা অন্যদের কাছে হাসি-ঠাট্টার বিষয় হয়ে পড়েছে।'
যেভাবে তারা বিটিএসভক্ত হয়ে উঠলেন
কীভাবে বিটিএসভক্ত হয়ে উঠলেন, তা জানাতে মাইশা খান বলেন, 'আমি ছোট থেকেই বিটিএসের গানগুলো শুনতাম। শুরুর দিকে বিটিএসকে লোকে তেমন চিনত না। আমি আসলে রক, পপ, জ্যাজসহ সব রকম জনরার গান শুনতাম। তাই না বুঝে ভক্ত হয়ে যাওয়ার ব্যাপার আমার ক্ষেত্রে হয়নি। বাইরের দেশে আমার এক আত্মীয় থাকত, তার মাধ্যমে আমি বিটিএসের গানের অ্যালবাম আনাতাম। তারপর ধীরে ধীরে বিটিএসের গানের অর্থ বুঝতে শুরু করলে, এটা আমাকে আরও বেশি টানতে থাকে।'
এখন মাইশার সংগ্রহে বিটিএস ব্যান্ডের অনেকগুলো অ্যালবাম রয়েছে। তাছাড়া ব্যান্ডটির নতুন কোনো অ্যালবাম বের হলেই মাইশার বাবা সেটা তাকে উপহার দেন। পরিবার থেকে সব বিষয়ের মতো এই বিষয়েও সমর্থন পেয়েছেন মাইশা।
আরেক বিটিএসভক্ত মিনারা মীম জানান, তিনি আগে থেকেই টুকটাক বিটিএসের গান শুনলেও ভক্ত বলতে যা বোঝায়, তা ছিলেন না। তবে ২০২০ সালে করোনা মহামারির সময় তার বিটিএসের গান শোনার মাত্রা বেড়ে যায়। এরপরই তিনি বিটিএসের প্রথম সারির ভক্ত হয়ে যান।
মাইশা ও মীম দুজনেরই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে গ্রুপ রয়েছে। গ্রুপগুলো তারা বিটিএসভক্তদের একত্রিত করতে ও এ-সংক্রান্ত পোস্ট করতে খুলেছিলেন, যেগুলো এখনো চলমান। গ্রুপের অ্যাডমিন থেকে সদস্য প্রত্যেকেই বিটিএসভক্ত এবং বিটিএস আর্মি।
ভক্তদের মতো হেটার্সদের সংখ্যাও কম নয়
আরেকদল লোক আছে যারা বিটিএসের কথা শুনলেই হাসি-ঠাট্টা করতে ছাড়ে না—কখনও কখনও সেটি গালাগাল পর্যন্ত গড়ায়। তারা বিটিএসের গান না শুনে বা সে গানগুলোর অর্থ না বুঝেই নিন্দা করে। নিন্দুকদের যুক্তি হচ্ছে, বিটিএস আর্মিরা ভিন্ন দেশের সংস্কৃতিকে বাংলাদেশে প্রমোট করছে।
এসব সমালোচনায় অবশ্য বিটিএসভক্তদের কিছু যায়-আসে না। তাদের চোখে বিটিএস ব্যান্ডদলের গায়করাই সবচেয়ে আকর্ষণীয় পুরুষ। তাদের নিত্যকার খবরাখবর, ভালোলাগার বিষয়বস্তু যেমন ভক্তরা অনুসরণ করছে, তেমনি এগুলো নিজেদের ব্যক্তিগত জীবনেও অনুকরণ করে যাচ্ছে। বিটিএস ব্যান্ডের সদস্যরা 'ফিংগার হার্ট' করার পর তা ভক্তদের মধ্যে ভালোবাসা প্রকাশের নীরব প্রতীক হয়ে উঠেছে। টিকটক ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ভিডিওতে বিটিএসভক্তদের বুড়ো আঙুল ও তর্জনী একত্রিত করে চুটকির মতো এই লাভ সাইন করতে দেখা যায়।
এত জনপ্রিয়তার পরেও একদলের কাছে বিটিএস কেন এত অপছন্দের, এই বিষয়টির ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে 'ওয়েভার্সবিডি' গ্রুপের অ্যাডমিন মিনারা মীম বলেন, 'প্রথমত মানুষ বিটিএসকে না জেনেই ঘৃণা করছে বা মজা করে। আর বাংলাদেশে হেটার্সদের মধ্যে ছেলেদের সংখ্যা বেশি। এটার পেছনে ছেলেদের যুক্তি হচ্ছে—কোরিয়ান এই তারকারা দেখতে মেয়েদের মতো, ওরা মেয়েদের মতো মেকআপ করে। তারপরেও কেন বেশিরভাগ মেয়েরা বিটিএসের ভক্ত হবে!
'আরেকটি কারণ হচ্ছে, বর্তমানে নতুন করে যারা বিটিএসভক্ত বলে নিজেদের দাবি করছে, তারা আসলে ট্রেন্ডে থাকার জন্যে এটা করছে। তাদের সাথে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অন্যদের নানা ঝামেলা থেকে মানুষজন সব বিটিএসভক্তকে নিয়ে খারাপ মন্তব্য করে। নতুন এই ভক্তরা কোনো সামাজিক প্রজেক্ট বা ভোটিং-স্ট্রিমিংয়ে নেই। অথচ তাদের জন্যে বিটিএসের বাকি ভক্তদের একই কাতারে মেপে নেতিবাচকভাবে দেখা হচ্ছে। আমরা যারা সিনিয়র ভক্ত অর্থাৎ শুরু থেকে বিটিএসকে ফলো করছি, তারা নিজেরাও এসব ব্যাপারে বিরক্ত। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আর্মি দাবি করা এ ধরনের লোকজনদের কাজ দেখে আমাদের হাসি পায়। আসলে এরা জানেই না বিটিএসের গানের অর্থগুলো কতটা গভীর ও হৃদয় ছুঁয়ে যাওয়ার মতো। আমরা পুরনো ভক্তরা জনপ্রিয়তা দেখে বিটিএসকে ভালোবাসিনি। বরং মানুষ যখন কে-পপ শুনত না বা এই সম্পর্কে কিছু জানত না, তখন থেকেই আমরা বিটিএসের তারকাদের ফলো করি।'
বিশেষ আয়োজন ও দিন উদযাপন
বিটিএস আর্মিদের খোলা গ্রুপগুলোতে ভক্তরা নিয়মিত পোস্ট করে থাকেন। আবেগ, অনুভূতির পাশাপাশি বিটিএস ব্যান্ডদল সমস্ত তথ্য, কনসার্ট, পরবর্তী গান ও তারকা এই শিল্পীদের ব্যক্তিগত জীবন, পছন্দ-অপছন্দসহ যাবতীয় বিষয় নিয়ে এখানে নিত্যদিন পোস্ট করা হয়। এছাড়াও আন্তর্জাতিক নানা প্রতিযোগিতায় বিটিএসকে ভোট দিতে ভক্তরা কীভাবে অংশগ্রহণ করতে পারে—সে বিষয়ে দিকনির্দেশনা দিতে ভোটিং ও স্ট্রিমিং গ্রুপও রয়েছে। বিটিএসের এত বিশাল ভক্তকুল থাকায় নানা প্রতিযোগিতায় বিজয়ীর মুকুট ছিনিয়ে নেওয়া তাদের জন্য অনেকটাই সহজ হয়ে যায়। বাংলাদেশের ভক্তরাও প্রিয় ব্যান্ড দলের তারকাদের জন্যে অনলাইন ভোটিংয়ে অংশ নিয়েছে।
তবে বিটিএস আর্মিরা কিন্তু শুধু বিনোদনের জগতেও আটকে নেই। সমাজের দুস্থ-অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্যে গ্রুপের সদস্যরা মিলে অর্থ তুলে নানা সামাজিক ও আর্থিক সহায়তা করে থাকে। এই সহায়তা কর্মকাণ্ডের প্রতিটিকে তারা একটি করে প্রজেক্ট হিসেবে নামকরণ করে। এ পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন জেলায় ৭টি প্রজেক্টের আয়োজন করেছে বিটিএসভক্ত আর্মিরা।
করোনাকালে মানুষের মধ্যে সতর্কতা বৃদ্ধি ও প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যসেবা দিতে মাঠে ছিল বাংলাদেশের বিটিএস আর্মি। সিলেটের বন্যার্তদের সহযোগিতায় আর্মি সদস্যরা অর্থ তুলে ১ লাখ টাকা সেখানে পৌঁছে দেয়। এছাড়াও তারা বিটিএস তারকাদের সাফল্য ও অন্যান্য বিশেষ দিনকে উদযাপন করতে সড়ক ও সেতুর আশেপাশে ময়লা পরিষ্কারের প্রজেক্ট করেছে। ২০২০ সালের ডিসেম্বরে বিটিএস গায়ক জিনের জন্মদিন উপলক্ষে বাংলাদেশ বিটিএস আর্মির গ্রুপ থেকে বৃক্ষ রোপণ প্রজেক্ট করা হয়। এই বিটিএস তারকা পরিবেশপ্রেমী, তাই তার জন্মদিন পালনে ভক্তরা এই আয়োজন করে। প্রজেক্টের উদ্দেশ্য ছিল প্রত্যেক ভক্ত তাদের বাড়ির ছাদ বা বারান্দায় ১টি করে চারা রোপণ করবে। এই প্রজেক্ট চলাকালীন মাত্র এক ঘণ্টায় ১ হাজার ২০০ চারা রোপণ করেন ভক্তরা।
বিটিএস আর্মি মাইশা খান বলেন, 'সবাই শুধু মুখিয়ে থাকে বিটিএস আর্মিদের নিয়ে হাসি-তামাশা আর খারাপ কথা ছড়াতে। আমরা যেসব প্রজেক্ট করি তার প্রতিটি সমাজের মানুষের জন্যে ও পরিবেশ রক্ষায়। কিন্তু এগুলো নিয়ে কখনও লোকে আলোচনা করে না। তাদের কাছে বিটিএস একটা গালির মতো হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমাদের এসব প্রজেক্টের কথা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচার করা হয় না। আমরা নিজেরা পোস্ট করলেও সেখানে একদল কমেন্ট করে আমরা নাকি লোক দেখানো কাজ করছি, নাহলে ফেসবুকে কেন পোস্ট করতে হবে? আমরা যা-ই করি, নিন্দুকেরা কখনো সেটা ভালোভাবে নেবে না। তাই আমরা এসব নেতিবাচক বিষয়কে উপেক্ষা করেই নিজেদের কাজ করে যাচ্ছি। আমরা তাদেরকে বলিনি বিটিএস ব্যান্ডকে সেরা বলতে বা বিটিএস কে অনুসরণ করতে। আমাদের ভালোলাগা আমরা প্রকাশ করছি, এতে অন্যদের ক্ষতির কারণ তো হচ্ছি না।'
এছাড়াও প্রতি বছর বিটিএস আর্মিরা নিজেরা মিলিত হতে গেট টুগেদার পার্টি ও কে-পপ ফেস্টিভ্যালের আয়োজন করে। ঢাকার বসুন্ধরা শপিং মল, যমুনা ফিউচার পার্ক ও মিরপুরের টোকিও সেন্টারে এগুলো অনুষ্ঠিত হয়। যেখানে ভক্তরা কোরিয়ান সংস্কৃতির মতো পোশাক ও সজ্জায় নিজেদের সাজিয়ে তোলে এবং প্রিয় ব্যান্ড দলের তারকাদের গানে নাচ করে।