শাহজালাল বিমানবন্দরের থার্ড টার্মিনাল পরিচালিত হবে পিপিপিতে
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের থার্ড টার্মিনালের পরিচালন ও রক্ষণাবেক্ষণের কাজ পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপে (পিপিপি) হবে।
এ লক্ষ্যে 'অপারেশন অ্যান্ড মেইন্ট্যানেন্স অব থার্ড টার্মিনাল অ্যাট হযরত শাহজালাল ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট' শীর্ষক প্রকল্পের নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি।
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে গতকাল বৃহস্পতিবার (১৯ জানুয়ারি) অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভা শেষে সিদ্ধান্ত জানান মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব সাঈদ মাহবুব খান।
তিনি বলেন, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের অধীন বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) কর্তৃক হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের টার্মিনাল-৩ এর 'অপারেশন অ্যান্ড মেইন্ট্যানেন্স অব থার্ড টার্মিনাল অ্যাট হযরত শাহজালাল ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট' প্রকল্পটি পিপিপি ভিত্তিতে বাস্তবায়নের নীতিগত অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
পিপিপিতে কারা এই প্রকল্পের কাজ পাচ্ছেন- সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে এমন প্রশ্নে করা হলে তিনি বলেন, পিপিপির আওতায় এখন নীতিগত অনুমোদন দেয়া হয়েছে। কোম্পানি এখনো ঠিক হয়নি।
আশা করা হচ্ছে, চলতি বছরের অক্টোবরে উদ্বোধন করা যাবে বিমানবন্দরের থার্ড টার্মিনাল (টার্মিনাল-৩)। সিঙ্গাপুরের চাঙ্গি বিমানবন্দরের আদলে হচ্ছে এর নির্মাণ। ইতোমধ্যে প্রকল্পের কাজ শেষ হয়েছে ৫১ শতাংশের বেশি।
বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) সূত্রে জানা গেছে, শাহজালালের তৃতীয় টার্মিনাল নির্মাণ প্রকল্পটি একনেকে অনুমোদন পায় ২০১৭ সালের ২৪ অক্টোবর। সে সময় ব্যয় ধরা হয়েছিল ১৩ হাজার ৬১০ কোটি টাকা। পরে আরও ৭ হাজার ৭৮৮ কোটি ৫৯ লাখ টাকা বাড়িয়ে প্রকল্পের আকার দাঁড়ায় প্রায় ২১ হাজার ৩৯৮ কোটি টাকা। ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে প্রকল্পটির নির্মাণ শুরু হয়।
এ খরচের বেশিরভাগ আসছে জাপানি সহযোগিতা সংস্থা জাইকার কাছ থেকে। সংস্থাটি ঋণ হিসেবে দিচ্ছে ১৬ হাজার ১৪১ কোটি ২ লাখ ৪৫ হাজার টাকা। বাকি ৫ হাজার ২৫৮ কোটি ৩ লাখ ৮৮ হাজার টাকা দিচ্ছে বাংলাদেশ সরকার।
এক কোটি ১০ লাখ লিটার সয়াবিন তেল কিনবে সরকার
স্থানীয় উৎস থেকে রাষ্ট্রায়ত্ত ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) জন্য এক কোটি ১০ লাখ লিটার সয়াবিন তেল সংগ্রহ করবে সরকার।
বৃহস্পতিবার সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির (সিসিজিপি) বৈঠকে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে এ প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়।
বৈঠক শেষে ভার্চুয়ালি সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব সাঈদ মাহবুব খান বলেন, সাং সিং এডিবল অয়েল লিমিটেডের কাছ থেকে প্রায় ২০০ কোটি টাকা ব্যয়ে সয়াবিন তেল কেনা হবে।
এছাড়াও সিসিজিপি ভারতের ইটিসি এগ্রো প্রসেসিং প্রাইভেট লিমিটেডের কাছ থেকে ৭৩.৯৬ কোটি টাকা ব্যয়ে ৮ হাজার টন মসুর ডাল সংগ্রহের জন্য টিসিবির আরেকটি প্রস্তাব অনুমোদন করেছে। ভারতীয় এই কোম্পানির স্থানীয় এজেন্ট হলো এক্সপোর্ট ট্রেডিং বিডি লিমিটেড, ঢাকা।