ছবি মুক্তিতে দেরি, 'শনিবার বিকেল' নিয়ে আবারও ক্ষোভ প্রকাশ ফারুকীর
চার বছর যাবত বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ডে আটকে থাকার পর গত ২১ জানুয়ারি মোস্তফা সরয়ার ফারুকী পরিচালিত 'শনিবার বিকেল' সিনেমাটি মুক্তির অনুমতি পায়। কিন্তু এখনও পর্যন্ত সেন্সর বোর্ডের কাছ থেকে আনুষ্ঠানিক ছাড়পত্র হাতে পাননি ফারুকী। তাই আরও একবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন খ্যাতনামা এই পরিচালক।
সোমবার এই প্রসঙ্গে ফেসবুকে একটি দীর্ঘ পোস্ট লিখেছেন ফারুকী। তিনি লিখেছেন, ''আর দেরি না করে চিঠিটা তাড়াতাড়ি পাঠান। আমরা বাংলাদেশকে আর বিব্রতকর অবস্থায় না ফেলি।''
২০১৬ সালের ঢাকার গুলশানে হলি আর্টিজান বেকারিতে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে নির্মিত হয়েছে 'শনিবার বিকেল'। কিন্তু কিন্তু গত ৪ বছর ধরে ছবিটির মুক্তি আটকে রেখেছিল দেশের চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ড। ছবিটি দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করতে পারে এমন কারণ দেখিয়ে এটি মুক্তির ছাড়পত্র দেওয়া হয়নি। অথচ মস্কোসহ একাধিক আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে ইতোমধ্যেই পুরস্কৃত হয়েছে 'শনিবার বিকেল'।
এদিকে ৩ ফেব্রুয়ারি ভারতে মুক্তি পাচ্ছে হংসল মেহতা পরিচালিত ছবি 'ফারাজ', যা হলি আর্টিজান বেকারিতে হামলার ঘটনাকে কেন্দ্র করেই নির্মিত। হংসল মেহতার ছবিটি মুক্তির তারিখ প্রকাশের পরপরই নতুন করে আলোচনা শুরু হয় 'শনিবার বিকেল' নিয়ে। দেশের একাধিক অভিনেতা-অভিনেত্রী-পরিচালক থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষও 'শনিবার বিকেল' মুক্তি দেওয়া নিয়ে সরব হন।
নিজের ফেসবুক পোস্টে ফারুকী লিখেছেন, 'ফারাজ' মুক্তি পাচ্ছে ৩ তারিখ। বাংলাদেশের মানুষ তাকিয়ে আছে 'শনিবার বিকেল' মুক্তির দিকে, 'ফারাজ'-এর সঙ্গে একই দিনে বা এক ঘণ্টা আগে হলেও।''
বিগত কয়েক বছর ধরে বিভিন্ন সময়ে 'শনিবার বিকেল' মুক্তির পক্ষে সরব হয়েছেন ফারুকী। আদায় করেছেন বাংলাদেশের বিশিষ্টদের এক বড় অংশের সমর্থন। কিন্তু তারপরেও এতটা 'ধীরে চলো' নীতি ভাবাচ্ছে পরিচালককে।
প্রসঙ্গত, 'শনিবার বিকেল' সিনেমায় বিভিন্ন দেশের শিল্পীরা অভিনয় করেছেন। বাংলাদেশের জাহিদ হাসান, নুসরাত ইমরোজ তিশা, মামুনুর রশীদ, ইরেশ যাকের, ইন্তেখাব দিনার, গাউসুল আলম শাওন এর পাশাপাশি অভিনয় করেছেন ভারতের পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়, ফিলিস্তিনের ইয়াদ হুরানি সহ আরও অনেকে।
ফারুকীর ভাষ্যে, ''আমি কিন্তু ঘটনাটি থেকে অনুপ্রেরণা নিয়েছি, ঘটনার পুনর্নির্মাণ করিনি। তার পরেও ভুগছি।'' আপাতত 'শনিবার বিকেল'-এর মুক্তির দিনক্ষণ কবে প্রকাশ্যে আসে, সেটাই দেখার।