শান্ত-মুশফিকের পর সাকিবের হাফ সেঞ্চুরি, লড়ার পুঁজি পেল বাংলাদেশ
যেভাবে ইনিংসের শুরু হয়, বড় সংগ্রহ তো দূরের কথা; লড়ার মতো পুঁজি গড়াই কঠিন মনে হওয়া কথা। আগের ম্যাচের মতো এই ম্যাচেও ইংল্যান্ডের পেসার স্যাম কারানের বোলিং তোপে শুরুতেই এলোমেলো বাংলাদেশের ইনিংস। অন্ধকারে পড়ে যাওয়া দলকে পথ দেখিয়ে জুটি গড়ে তোলেন নাজমুল হোসেন শান্ত ও মুশফিকুর রহিম, তুলে নেন হাফ সেঞ্চুরি। এরপর বলতে গেলে একাই ব্যাট চালিয়ে যান সাকিব আল হাসান, খেলেন দুর্বার এক ইনিংস। এই তিনজনের ব্যাটে ইংলিশদের বিপক্ষে মাঝারি সংগ্রহ পেয়েছে বাংলাদেশ।
সোমবার চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে ৪৮.৫ ওভারে ১০ উইকেটে ২৪৬ রান তুলেছে তামিম ইকবালের দল। সাকিবের ব্যাট থেকে আসে সর্বোচ্চ রানের ইনিংস, হাফ সেঞ্চুরি করে ভিত গড়ে দেন শান্ত ও মুশফিক। বাকি ব্যাটসম্যানদের কেউই ইনিংস বড় করতে পারেননি। বাংলাদেশের ছয়জন ব্যাটসম্যান দুই অঙ্কের রান করতে পারেননি।
টস জিতে আগে ব্যাটিং করতে নামা বাংলাদেশ শুরুতেই দিক হারায়। ১৭ রানের মধ্যে তাদের দুই ওপেনার লিটন কুমার দাস ও তামিম ইকবালকে ফিরিয়ে দেন স্যাম কারান। শুরুর ধাক্কায় বাংলাদেশ তখন দিশেহারা, এমন সময়ে ত্রাতা হয়ে দেখা দেন শান্ত ও মুশফিক। দ্রুততার সঙ্গে উইকেটে মানিয়ে নিয়ে জুটি গড়ে তোলেন তারা।
তৃতীয় উইকেটে ১২৮ বলে ৯৮ রানের জুটি গড়েন এ দুজন। এর মাঝে ওয়ানডে ক্যারিয়ার ও চলতি সিরিজের দ্বিতীয় হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন শান্ত। এরপরই দুর্ভাগ্যজনকভাবে রান আউটে কাটা পড়তে হয় তাকে। সাজঘরে ফেরার আগে ৭১ বলে ৫টি চারে ৫৩ রান করেন তিনি। শান্তর বিদায়ের পর সাকিব আল হাসানের সঙ্গে ৩৮ রানের জুটি গড়েন মুশফিক।
এ সময়ে ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ৪৩তম হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন তিনি। দারুণ ব্যাটিং করতে থাকা মুশফিককে ফেরান আদিল রশিদ। ইংলিশ এই লেগ স্পিনারের বলে আউট হওয়ার আগে ৯৩ বলে ৬টি চারে ৭০ রানের মহাগুরুত্বপূর্ণ এক ইনিংস খেলেন উইকেটরক্ষক এই ব্যাটসম্যান। শান্ত-মুশফিকের পর সাকিব একাই লড়েছেন প্রায় শেষ পর্যন্ত। মাঝে আফিফ হোসেন ধ্রুব কিছুটা সময় উইকেটে ছিলেন।
মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, মেহেদী হাসান মিরাজরা কিছুই করতে পারেননি। অন্য প্রান্তে নিয়মিত ধারায় উইকেট পড়লেও সাকিব চেনা ছন্দে ব্যাট চালিয়ে যান। ৪৯তম ওভারে আউট হওয়ার আগে ৭১ বলে ৭টি চারে ইনিংস সেরা ৭৫ রান করেন অভিজ্ঞ এই অলরাউন্ডার। আফিফের ব্যাট থেকে আসে ১৫ রান। জফরা আর্চার ৩৫ রানে ৩টি উইকেট নেন। বাংলাদেশকে সবচেয়ে বেশি ভোগানো আদিল ৫ ওভারে ২১ রানে নেন ২ উইকেট। স্যাম কারানের শিকারও ২ উইকেট। ক্রিস ওকস ও অভিষিক্ত রেহান আহমেদ একটি করে উইকেট পান।