মামলার একদিন পরেই সমঝোতার প্রস্তাব নওয়াজের, ডিভোর্স চান স্ত্রী আলিয়া
বেশ কয়েকবছর ধরেই স্ত্রী আলিয়ার সঙ্গে অভিনেতা নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকির সম্পর্ক তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। বিষয়টি নিয়ে অনেকদিন ধরেই দুজনের মধ্যে কাদাছোঁড়াছুড়ি অব্যাহত। এমনকি আলিয়ার সঙ্গে তাল মিলিয়ে নওয়াজের বিরুদ্ধে মুখ খোলেন অভিনেতার ভাই শামস নবাব সিদ্দিকি। তাই দুদিন আগেই স্ত্রী ও ভাই শামসের বিরুদ্ধে ১০০ কোটির মানহানির মামলা ঠুকেছেন অভিনেতা।
এদিকে ঘটনার ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই পাল্টি খেলেন নওয়াজউদ্দিন। অভিনেতা নাকি আলিয়ার কাছে মামলার নিষ্পত্তি চেয়ে চিঠি পাঠিয়েছেন। আর এখবর নিশ্চিত করেছেন আলিয়া সিদ্দিকি।
সংবাদমাধ্যমকে আলিয়া বলেন, 'নওয়াজ মীমাংসা চেয়েছেন। কিন্তু বিবাহ-বিচ্ছেদ হবেই, এটা নিশ্চিত। আমি আমার উভয় সন্তানের হেফাজতের জন্য লড়াই করব। নওয়াজও হেফাজতের জন্য আবেদন করেছেন কিন্তু সেটা আমি হতে দেব না। বাচ্চারা আমার সঙ্গেই থাকতে চায় এবং বাবার সঙ্গে থাকতে চায় না।'
আলিয়া আরও জানিয়েছেন, 'বর্তমানে আমি একটি ভাড়া ফ্ল্যাটে থাকছি। সেটাও আমাকে ৩০ মার্চের মধ্যে খালি করতে বলা হয়েছে। কিন্তু আমি অন্য বাসস্থান খুঁজে পাচ্ছি না বলে আরও এক মাস থাকতে দেওয়ার অনুরোধ করেছি। সম্পর্ক নিয়ে বিরোধের কারণে আমাকে বাসাও ভাড়া দিতে চাইছে না সমিতি।'
চলতি বছরের জানুয়ারিতে আলিয়া সিদ্দিকি জানিয়েছিলেন, নওয়াজের মুম্বাইয়ের বাড়িতে তাকে হেনস্থা করেছেন নওয়াজের মা। শাশুড়ি-বউমার ঝগড়ায় একে অপরের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগও দায়ের করা হয়। এরপর আরও কয়েক দফা অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগ আসে। এমনকি তাঁকে মাঝরাতে দুই ছেলেমেয়েসহ বাড়ি থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ করেছিলেন আলিয়া সিদ্দিকি।
যদিও নওয়াজ বিবৃতি দিয়ে জানান, বহুদিন ধরেই তিনি আর আলিয়া আলাদা থাকেন, তাঁদের বিবাহ-বিচ্ছেদ আগেই হয়েছে। শুধুমাত্র ছেলেমেয়ের মুখের দিকে তাকিয়ে বোঝাপড়ার মধ্যে দিয়ে চলছিলেন। এমনকি নওয়াজের দাবি ছিল, আলিয়া শুধুই টাকা চান। সে কারণেই একের পর এক মামলা করে তাকে হেনস্থা করছেন। গতবছরও তাই করেছিলেন এবং মনমতো টাকা মিলতেই কেস বন্ধ করে দেন বলে অভিনেতার ভাষ্য।