গাজীপুর সিটি নির্বাচন: জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে দুদকে অভিযোগ মেয়র প্রার্থীর
গাজীপুর সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র (বরখাস্ত) ও আসন্ন সিটি নির্বাচনে মনোনয়ন বাতিল হওয়া মেয়র প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে নির্বাচনী হলফনামা ও আয়কর রিটার্নে তথ্য গোপন করার অভিযোগ তুলে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) অভিযোগ দায়ের করেছেন আসন্ন গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে গণফ্রন্ট সমর্থিত মেয়র প্রার্থী আতিকুল ইসলাম।
আজ মঙ্গলবার (২ মে) দুদক গাজীপুর সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে লিখিত অভিযোগটি দায়ের করেন তিনি।
অভিযোগ দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করে আতিকুল ইসলাম দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে বলেন, 'মেয়র প্রার্থী হিসাবে নয়, একজন সচেতন নাগরিক হিসাবে আমি এই অভিযোগ দায়ের করেছি।'
যদিও বিষয়টিকে উদ্দেশ্যমূলক উল্লেখ করে জাহাঙ্গীর দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে মুঠোফোনে বলেন, 'মূলত এগুলো করা হচ্ছে আমাকে নির্বাচনী মাঠ থেকে সরিয়ে দিতে। যেহেতু আমি এই শহরের মেয়র ছিলাম, তাই কীভাবে আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালিয়ে আমাকে নির্বাচনী মাঠ থেকে সরিয়ে দেওয়া যায়, কীভাবে মামলা দিয়ে আমাকে হয়রানি করা যায়, সেই চেষ্টাই তারা করছেন।'
লিখিত অভিযোগের একটি কপি দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড এর হাতে এসেছে।
অভিযোগে বলা হয়, গাজীপুর সিটি করপোরেশনের সাময়িক বরখাস্ত ও পরে পদত্যাগী মেয়র মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম সম্পদ গোপন করেছেন বলে তার নির্বাচনী হলফনামায় উঠে এসেছে। মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলমের ২০১৯-২০২০ ও ২০২০-২০২১ অর্থবছরের আয়কর রিটার্ন/বিবরণীতেও সম্পদ গোপন করার ও আয়-ব্যয়ের হিসাবে গরমিল লক্ষ করা গেছে। এতে ৫ কোটি টাকার গরমিল বেড়িয়ে আসবে বলে আমি বিশ্বাস করি।'
আতিকুল ইসলাম অভিযোগে আরও বলেন, সংশ্লিষ্ট আয়কর অফিসের কতিপয় কর্মকর্তার যোগসাজশে মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম আয়কর রিটার্ন বিবরণীতে এই গরমিল করেছেন।
দুদক গাজীপুর সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে উপ-পরিচালক মোজাহার আলী সরদার দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে বলেন, 'লিখিত অভিযোগটি আমরা পেয়েছি। আমাদের এখানে বাছাই কমিটি আছে। তারা এগুলো যাচাই-বাছাই করে অনুমোদনের জন্য ঢাকায় পাঠাবে। পরে ঢাকা থেকে যাচাই শেষে যদি মনে করে তদন্তযোগ্য, সেক্ষেত্রে আমাদের অনুমোদন দিলে আমরা পরবর্তী কার্যক্রম শুরু করব।'