চিত্রনায়ক ফারুক আর নেই
ঢাকাই চলচ্চিত্রের কিংবদন্তি চিত্রনায়ক ও ঢাকা-১৭ আসনের সংসদ সদস্য আকবর হোসেন পাঠান ফারুক মারা গেছেন। বাংলা চলচ্চিত্রের 'মিয়াভাই' খ্যাত এই অভিনেতা সোমবার (১৫ মে) সকালে সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন বলে খবর গণমাধ্যমের।
আগামীকাল মঙ্গলবার (১৬ মে) তার মরদেহ দেশে আনা হবে।
২০২০ সাল থেকেই যক্ষ্মা রোগে ভুগছিলেন অভিনেতা ফারুক। দীর্ঘদিন সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। সর্বশেষ ২০২১ সালে মার্চ মাসে নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য সিঙ্গাপুরে যান তিনি। পরীক্ষায় তার রক্তে সংক্রমণ ধরা পড়ে। এরপর থেকেই শারীরিকভাবে অসুস্থতা অনুভব করছিলেন তিনি।
১৯৪৮ সালের ১৮ আগস্ট ঢাকায় জন্মগ্রহণ করেন ফারুক। এইচ আকবর পরিচালিত 'জলছবি' চলচ্চিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে ১৯৭১ সালে ঢাকাই সিনেমার তার অভিষেক হয়।
পাঁচ দশকের ঢালিউড ক্যারিয়ারে দেড় শতাধিক ছবিতে অভিনয় করেছেন ফারুক। শুধু অভিনেতাই নন, ফারুক একজন মুক্তিযোদ্ধা, চলচ্চিত্র প্রযোজক এবং রাজনীতিবিদও ছিলেন। ফারুক অভিনীত বেশিরভাগ সিনেমাই বেশ জনপ্রিয় ও ব্যবসাসফল ছিল। বাংলা চলচ্চিত্রের সোনালি যুগের সবচেয়ে খ্যাতিমান তারকাদের মধ্যে একজন ছিলেন ফারুক।
অভিনয় থেকে অবসর নেওয়ার পর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে ঢাকা-১৭ আসনে প্রথমবারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন তিনি।
বাংলাদেশি চলচ্চিত্রে অসামান্য অবদানের জন্য অসংখ্য পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন অভিনেতা ফারুক। এর মধ্যে ১৯৭৫ সালে 'লাঠিয়াল' চলচ্চিত্রের জন্য জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন তিনি। ২০১৬ সালে আবারও একই শাখায় তিনি 'আজীবন সম্মাননা' পুরস্কার লাভ করেন।
অভিনেতা ফারুকের উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্রগুলোর মধ্যে রয়েছে: আবার তোরা মানুষ হ (১৯৭৩), সুজন সখী (১৯৭৫), সারেং বৌ (১৯৭৮), গোলাপী এখন ট্রেনে (১৯৭৮), সাহেব (১৯৭৯), মিয়া ভাই (১৯৮৭), পদ্মা মেঘনা যমুনা (১৯৯১), কোটি টাকার কাবিন (২০০৬) ইত্যাদি।