লক্ষ্ণৌকে বিদায় করে টিকে রইলো মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স
লড়ার মতো রসদ ছিলো মম্বাই ইন্ডিয়ান্সের ঝুলিতে। কিন্তু আইপিএল বলে কথা, নিশ্চিন্ত থাকার সুযোগ কই! তবে বল হাতে শুরু থেকে শাসন জারি করলো রোহিত শর্মার দল। যে শাসনে দিশেহারা লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টস। এর মাঝে যমদূত হয়ে হাজির হলেন ম্যাচসেরা আকাশ মাধওয়াল। মুম্বাইয়ের ডানহাতি এই পেসার ৫ রানেই তুলে নিলেন ৫ উইকেট। দাপুটে জয়ে লক্ষ্ণৌকে হারিয়ে ফাইনালে ওঠার আশা বাঁচিয়ে রাখলো মুম্বাই।
বুধবার রাতে চেন্নাইয়ের এমএ চিদাম্বরম স্টেডিয়ামে এলিমিনেটর ম্যাচে লক্ষ্ণৌকে ৮১ রানের বড় ব্যবধানে হারিয়েছে আইপিএলের রেকর্ড পাঁচবারের চ্যাম্পিয়ন মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স। এই হারে আসর থেকে বিদায় নিতে হলো লক্ষ্ণৌকে, ফাইনালের দৌড়ে টিকে রইলো রোহিতের দল। চেন্নাই সুপার কিংসের পর দ্বিতীয় দল হিসেবে ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে ২৬ মে আহমেদাবাদে মুখোমুখি হবে মুম্বাই ও গুজরাট টাইটান্স।
টস জিতে আগে ব্যাটিং করতে নামে মুম্বাই। ক্যামেরুন গ্রিন, সূর্যকুমার যাদব, তীলক ভার্মা, নেহাল ওয়াধীরাদের ছোট ছোট ইনিংসে ৮ উইকেটে ১৮২ রান তোলে মুম্বাই। জবাবে বল হাতে তাণ্ডব চালানো মাধওয়ালের তোপের মুখে ১৬.৩ ওভারে ১০১ রানেই গুটিয়ে যায় লক্ষ্ণৌর ইনিংস। দলটির মাত্র তিনজন ব্যাটসম্যান তুই অঙ্কের রান রান করেন, বাকিরা উইকেটে গেছেন আর ফিরেছেন।
জয়ের লক্ষ্যে ব্যাটিং করতে নেমে দলীয় ১২ রানেই প্রথম উইকেট হারায় লক্ষ্ণৌ। এরপর নিয়মিত ধারায় উইকেট হারাতে থাকে দলটি। তাদের সর্বোচ্চ রানের জুটি ছিল ৪৬। উইকেট বৃষ্টির মাঝেও লড়াই করেন তাদের তিনজন ব্যাটসম্যান। কাইল মেয়ার্স ১৩ বলে ১৮, মার্কাস স্টয়নিস ২৭ বলে ৪০ ও দীপক হুদা ১৩ বলে ১৫ রান করেন।
এই তিনজনই কেবল দুই অঙ্কের রান করেন। ম্যাচসেরা মাধওয়াল ৩.৩ ওভারে মাত্র ৫ রানে ৫ উইকেট নেন, প্রথমবারের মতো টি-টোয়েন্টিতে ৫ উইকেট শিকার তার। এ ছাড়া ক্রিস জর্ডান ও পিযুশ চাওলা একটি করে উইকেট নেন। লক্ষ্ণৌর তিনজন ব্যাটসম্যান রান আউটে কাটা পড়েন।
এর আগে ব্যাটিং করা মুম্বাইয়ের হয়েও কেউ বড় ইনিংস খেলতে পারেননি। তবে কয়েকজন রানের দেখা পাওয়ায় লড়াকু সংগ্রহ পায় তারা। ২৩ বলে ৬টি চার ও একটি ছক্বায় ইনিংসসেরা ৪১ রান করেন ক্যামেরুন। ২০ বলে ২টি করে চার ও ছক্কায় ৩৩ রান করেন সূর্যকুমার। ১২ বলে ১৩ রান করেন নেহাল। এ ছাড়া ইশান কিশান ১৫, অধিনায়ক রোহিত ১১, তীলক ভার্মা ২৬ ও টিম ডেভিড ১৩ রান করেন। লক্ষ্ণৌর নাভিন-উল-হক ৪টি ও যশ ঠাকুর ৩টি উইকেট নেন। একটি উইকেট পান মহসিন খান।