আইপিএল ফাইনাল: শিরোপা জিততে রান পাহাড় টপকাতে হবে ধোনির চেন্নাইকে
শুরুটা হয় দাপুটে, উদ্বোধনী জুটিতে তাণ্ডব চালিয়ে গুজরাট টাইটান্সকে বড় সংগ্রহের ভীত গড়ে দেন দুই ওপেনার ঋদ্ধিমান সাহা ও শুভমান গিল। সেখান থেকে হাল ধরে শাসন করে যান সাই সুদর্শন। তার দুর্দান্ত ব্যাটিং শো চলে শেষ ওভার পর্যন্ত। শেষ দিকে ঝড়ো ইনিংস খেলেন অধিনায়ক হার্দিক পান্ডিয়াও। এই চারজনের ব্যাটে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) ফাইনালে বড় সংগ্রহ পেয়ে গেছে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন গুজরাট।
সোমবার আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে চেন্নাই সুপার কিংসের বিপক্ষে টস হেরে আগে ব্যাটিং করতে নামা গুজরাট ৪ উইকেটে ২১৪ রান তুলেছে। মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের মতো রেকর্ড পঞ্চমবারের মতো শিরোপা জিততে মহেন্দ্র সিং ধোনির চেন্নাইকে যে রান পাহাড় পাড়ি দিতে হবে, তা বলাই যায়।
শিরোপার লড়াইয়ে আগে ব্যাটিং করতে নামা গুজরাট উদ্বোধনী জুটি থেকেই পায় ৬৭ রান। এর জন্য ঋদ্ধিমান ও শুভমান বল খরচা করেন ৪২টি। তাদের জুটি ভাঙে এবারের আসরের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক শুভমানের বিদায়ে। ২০ বলে ৭টি চারে ৩৯ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলে আউট হন ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান।
পুরো আসরজুড়ে আলো ছড়ানো শুভমান ১৭ ম্যাচে ৩টি সেঞ্চুরি ও ৪টি হাফ সেঞ্চুরিসহ ৫৯.৩৩ গড়ে ৮৯০ রান করেছেন শুভমান, যা আসরের সর্বোচ্চ। কারণ ফাইনালে তাকে ছাড়িয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা নেই কোনো ব্যাটসম্যানের। তার বিদায়ে চাপ বুঝতে হয়নি গুজরাটকে। ঋদ্ধিমানের সঙ্গে যোগ দিয়ে ঝড় তোলেন সুদর্শন।
এই জুটি থেকে আসে ৪২ বলে ৬৪ রান। দলীয় ১৩১ রানে থামেন ঋদ্ধিমান। এর আগে ৩৯ বলে ৫টি চার ও একটি ছক্কায় ৫৪ রান করেন তিনি। এরপর হার্কিককে এক পাশে রেখে ২২ গজে সাইক্লোন বইয়ে দেন সুদর্শন। শেষ ওভার পর্যন্ত চেন্নাইয়ের বোলারদের কোণঠাসা করে রাখেন তিনি।
শেষ ওভারে ফেরার আগে ৪৭ বলে ৮টি চার ও ৬টি ছক্কায় ৯৬ রানের ঝলমলে এক ইনিংস খেলেন সুদর্শন। সুদর্শন-হার্দিকের জুটি থেকে মাত্র ৩৩ বলে ৮১ রান পায় গুজরাট। হার্দিক ১২ বলে ২টি ছক্কায় ২১ রানে অপরাজিত থাকেন। শেষ দুটি বল কাজে লাগাতে পারেনি তারা। শেষ ওভারের পঞ্চম বলে ডট দেওয়া রশিদ খান শেষ বলে আউট হয়ে যান। চেন্নাইয়ের মাথিসা পাথিরানা ২টি এবং দীপক চাহার ও রবীন্দ্র জাদেজা একটি করে উইকেট পান।