মোবাইল ডেটার দাম বেঁধে দেবে বিটিআরসি, কমাবে প্যাকেজের সংখ্যাও
শীঘ্রই মোবাইল ডেটার সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন দর বেঁধে দিতে যাচ্ছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। পাশাপাশি মোবাইল সেবাদাতা অপারেটরগুলোর দেওয়া বিভিন্ন প্যাকেজের মোট সংখ্যা কমিয়ে অর্ধেক করবে সংস্থাটি।
ব্রডব্যান্ড ডেটার 'এক দেশ, এক রেট' ক্যাম্পেইনের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বিটিআরসি এবার মোবাইল ডেটা ব্যবহারকারীদের জন্যও সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন দর বেঁধে দিচ্ছে বলে মঙ্গলবার (৩০ মে) রাজধানীতে স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে এক বৈঠকে জানিয়েছেন বিটিআরসি'র কর্মকর্তারা।
তবে মোবাইল ফোন নেটওয়ার্ক অপারেটরেরা প্যাকেজের দাম নির্দিষ্ট করে দেওয়ার চাইতে সেবার মানা বাড়ানো নিয়ে বেশি আগ্রহী।
গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসে, টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন 'এক দেশ, এক রেট'-এর আওতায় ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের দাম নির্ধারণ করে দিয়েছিল।
কিন্তু এখন পর্যন্ত মোবাইল ইন্টারনেট বাজারের জন্য এ ধরনের কোনো দর নির্ধারণ করা হয়নি।
বর্তমানে মোবাইল সেবাদাতা কোম্পানিগুলো তিনটি ক্যাটাগরিতে চার ধরনের মেয়াদের প্রায় ৯৫ প্রকারের প্যাকেজ গ্রাহকদেরকে অফার করতে পারে।
গত বছরের মার্চের আগ পর্যন্ত দেশের একটি মোবাইল নেটওয়ার্ক অপারেটর সর্বোচ্চ ৩৬২টি প্যাকেজের অফার রেখেছিল।
কিন্তু এখন বিটিআরসি চাচ্ছে প্যাকেজের সংখ্যা ৫০ শতাংশ কমিয়ে আনতে।
ইন্টারনেটের দাম ও গতি পর্যালোচনা করা ব্রিটিশ সংস্থা ক্যাবল ডটকো ডটইউকে-এর 'ওয়ার্ল্ডওয়াইড মোবাইল ডেটা প্রাইসিং ২০২২'-এ বিশ্বব্যাপী কম দামে ডেটা পাওয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ১২তম।
দেশে গড়ে প্রতি এক গিগাবাইট মোবাইল ডেটা কিনতে খরচ হয় ৩৩ টাকার মতো।
দক্ষিণ এশিয়ায় অল্প দামে মোবাইল ডেটা সরবরাহের এ তালিকায় ভারত ৫ম, নেপাল ১০ম, শ্রীলঙ্কা ১১তম, পাকিস্তান ১৩তম, ভুটান ১৯তম, আফগানিস্তান ৬৪তম ও মালদ্বীপ ১৪৫তম।
ওই রিপোর্ট অনুযায়ী, ফ্রান্স, ইতালি, ও ভারতের চেয়ে বাংলাদেশে ইন্টারনেটের দাম বেশি।
এর আগে ২০২১ সালের নভেম্বরে বিটিআরসি নতুন একটি নীতিমালা প্রকাশ করেছিল। ওই নীতিমালা অনুযায়ী কোনো প্যাকেজের মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার আগে তা যদি গ্রাহক আবার নতুন করে কেনেন, তাহলে তিনি আগের প্যাকেজের অব্যবহৃত ডেটা নতুন মেয়াদে আবার ব্যবহার করতে পারবেন।