সোমবার থেকে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দিল সরকার
পেঁয়াজের বাজারে নিয়ন্ত্রণ ফেরাতে এবার আমদানির অনুমতি দেওয়ার ঘোষণা দিল কৃষি মন্ত্রণালয়। সোমবার থেকে পেঁয়াজ আমদানি করতে পারবেন ব্যবসায়ীরা।
পেঁয়াজের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির ফলে সীমিত আয়ের মানুষের ভোগান্তি কমাতে ভোক্তাদের স্বার্থে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে কৃষি মন্ত্রণালয়।
রোববার কৃষি মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা কামরুল এ তথ্য জানান।
রোববার সারা দেশের বিভিন্ন কাঁচাবাজারে পেঁয়াজের দাম কেজিতে ১০০ টাকা পর্যন্ত পৌঁছে গেছে। ফলে স্বল্প আয়ের মানুষের পক্ষে পেঁয়াজ কেনা অসম্ভব হয়ে উঠেছে।
গত ২১ মে প্রতি কেজির পেঁয়াজের দাম ৭০ থেকে ৮০ টাকায় উঠে যায়। অথচ মাস দেড়েক আগেও পেঁয়াজ ৩০ থেকে ৪০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছিল।
এর আগে ২০১৯ সালে সর্বোচ্চ ২২০ টাকা কেজিতে বিক্রি হয় পেঁয়াজ।
গত সপ্তাহেই কৃষিমন্ত্রী মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছিলেন, বাজার পরিস্থিতি দেখে পেঁয়াজ আমদানির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এরপরও বাজায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না আসায় পেঁয়াজ আমদানির এই পদক্ষেপ নিল সরকার।
পেঁয়াজ উৎপাদনকারীদের সুরক্ষার জন্য বিগত ১৫ মার্চ থেকে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ রাখা হয়েছিল।
শ্যামবাজারের পেঁয়াজ-রসুন আমদানিকারক হাজী মো. মাজেদ টিবিএসকে বলেন, 'ভারতে পেঁয়াজের দাম ১১-১২ টাকা কেজি, যা দেশে এলে হয়তো ৩০ টাকায় বিক্রি হবে।'
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্যমতে, সরকারি প্রচেষ্টার ফলে দেশে গত দুই বছরে পেঁয়াজের উৎপাদন বেড়েছে ১০ লাখ মেট্রিক টনের বেশি।
২০২১-২২ অর্থবছরে ৩৫ লাখ মেট্রিক টন পেঁয়াজ উৎপাদিত হয়েছে। এ বছর ৩৪ লাখ মেট্রিক টনের বেশি পেঁয়াজ উৎপাদিত হয়েছে। পেঁয়াজের সংগ্রহ থেকে শুরু করে ভোক্তা পর্যন্ত পৌঁছাতে বিভিন্ন ধাপে ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ অপচয় বাদে গত বছর নিট উৎপাদন হয়েছে ২৪.৫৩ লাখ মেট্রিক টন।
দেশে পেঁয়াজের বার্ষিক চাহিদা প্রায় ২৮ লাখ মেট্রিক টন।
যথাযথ সংরক্ষণ ব্যবস্থা না থাকা এবং প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত পেঁয়াজের ৩০-৩৫ শতাংশ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।