আমদানি শুরু হওয়ায় পেঁয়াজের দাম কমতে শুরু করেছে
সোমবার বেনাপোল ও ভোমরা বন্দর দিয়ে দেশে পেঁয়াজ আসা শুরু করায় যশোরের বাজারে দাম কমেছে কেজিতে ১০ থেকে ১২ টাকা।
গতকাল প্রতি কেজি পেঁয়াজ ১০০ টাকায় বিক্রি হলেও আজ দাম কমে ৮৮-৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে ভোমরা বন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আসা শুরু করার পর সাতক্ষীরায় এখন পেঁয়াজ ৫০-৬০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।
সোমবার বিকালে বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ৭৫ মেট্রিক টন পেঁয়াজ এসেছে। এগুলো এখনও খালাস হয়নি।
এছাড়া অনুমতির প্রথম দিনেই ভারত থেকে সাতক্ষীরার ভোমরা বন্দরে দিয়ে ৩৩০ টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে। সোমবার সন্ধ্যায় পেঁয়াজভর্তি এসব ট্রাক ভারত থেকে দেশের বন্দরে প্রবেশ করে।
প্রায় তিন মাস আমদানি বন্ধ থাকার পর ঢাকার আমদানিকারক জারিফ ইন্টারন্যাশনাল এই প্রথম এই ৭৫ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি করেছে। পেঁয়াজ বেনাপোল বন্দর থেকে ছাড়পত্রের জন্য কাজ করছে রয়েল এন্টারপ্রাইজ নামের একটি সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট।
সোমবার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর দ্বারা পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি বা আইপি অ্যাপ্লিকেশন অনুমোদন করা শুরু হয়েছে।
প্রায় ২ লাখ ৮০ হাজার ৮০০ টন পেঁয়াজ আমদানির জন্য প্রথম দিনে এ পর্যন্ত প্রায় ২১০টি আইপি অ্যাপ্লিকেশন অনুমোদিত হয়েছে।
রয়েল এন্টারপ্রাইজ সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টের স্বত্বাধিকারী রফিকুল ইসলাম বলেন, পেঁয়াজ গতকাল বিকালে পৌঁছেছে। ওই পেঁয়াজের জন্য উদ্ভিদ সঙ্গনিরোধ কেন্দ্রে সার্টিফিকেট নিতে আবেদন করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আমদানিকারকরা ইতিমধ্যে কৃষি মন্ত্রণালয় থেকে আমদানি অনুমতির জন্য আবেদন করেছেন, তাই শীঘ্রই আরও পেঁয়াজ আসবে।
রফিকুল বলেন, এখন পেঁয়াজ আমদানিতে কোনো বাধা নেই।
মূল্যবৃদ্ধির প্রতিক্রিয়ায় কৃষি মন্ত্রণালয় পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দিয়েছে।
দেশীয় উৎপাদকদের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করতে সরকার পেঁয়াজ আমদানি নিষিদ্ধ করেছিল।
কিন্তু দাম বাড়তে থাকায় এই পদক্ষেপ বুমেরাং হয়েছে।
বেনাপোল আমদানি-রপ্তানিকারক সমিতির সহ-সভাপতি আমিনুল হক আনু বলেন, সরকার গত বছরের ১৫ মার্চ থেকে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দেওয়া বন্ধ করে দেয়, যার ফলে সরবরাহ কমে যায়।
তিনি বলেন, এখন সরকার আমদানির অনুমতি দেওয়ায় দাম আরও কমবে।