ব্লিঙ্কেনের আলোচিত চীন সফর শুরু, তবে সাফল্যের আশা কম
রোববার (১৭ জুন) চীনের রাজধানী বেইজিংয়ে পৌঁছেছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। গত পাঁচ বছরে এটিই কোনো উচ্চপদস্থ মার্কিন কূটনীতিকের প্রথম চীন সফর।
নানাধরনের বাধা-বিপত্তি পর অবশেষে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর চীন সফর শুরু হলেও, তা যুক্তরাষ্ট্র-চীনের মধ্যকার শীতল দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে খুব বেশি অগ্রগতি নাও আনতে পারে বলে উল্লেখ করা হয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে।
এর আগে, ফেব্রুয়ারিতে ব্লিঙ্কেনের চীন সফরের কথা থাকলেও সন্দেহভাজন চীনা গুপ্তচর বেলুন ইস্যুতে তা বাতিল করা হয়।
সকালে বেইজিং পৌঁছানোর পর ব্লিঙ্কেন ও তার সফরসঙ্গীদের দিয়াওয়ুতাই স্টেট গেস্ট হাউসে স্বাগত জানান চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী কিন গ্যাং। এ সময় দুই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইংরেজিতে কথা বলেন ও করমর্দন করেন।
তবে মিটিং রুমে যাওয়ার পরে, ব্লিঙ্কেন বা কিন কেউই সাংবাদিকদের সামনে কোনো মন্তব্য করেননি।
দুই দিনের সফরে আগামীকাল সোমবার (১৯ জুন) চীনের শীর্ষ কূটনীতিক ওয়াং ই মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করবেন বলে আশা করা হচ্ছে। প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গেও ব্লিঙ্কেনের সাক্ষাতের সম্ভাবনা রয়েছে।
দুই দেশের মধ্যে কৌশলগত প্রতিদ্বন্দ্বিতা যেন সংঘাতে পরিণত না হয়, তা নিশ্চিত করতে উন্মুক্ত ও টেকসই যোগাযোগ ব্যবস্থা স্থাপনের চেষ্টা করবেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্লিঙ্কেন।
ধারণা করা হচ্ছে, এই সফরের মাধ্যমে সামনের মাসগুলোতে চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে আরও দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের পথ সুগম হবে। বছরের শেষে বহুপাক্ষিক শীর্ষ সম্মেলনে প্রেসিডেন্ট শি এবং বাইডেনের মধ্যে বৈঠকের সুযোগও তৈরি করতে পারে এই সফর।
এর আগে, শনিবার প্রেসিডেন্ট বাইডেন আগামী কয়েক মাসের মধ্যে প্রেসিডেন্ট শির সঙ্গে সাক্ষাতের আশা প্রকাশ করেন।
বেইজিংয়ের উদ্দেশ্যে রওনা হওয়ার আগে শুক্রবার (১৬ জুন) এক সংবাদ সম্মেলনে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী তার এই চীন সফরের প্রধান তিন উদ্দেশ্যের কথা জানান। প্রথমত, সংকট ব্যবস্থাপনায় কার্যকর কৌশল স্থাপন; দ্বিতীয়ত, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের স্বার্থের অগ্রগতি নিশ্চিত করার পাশপাশি সংশ্লিষ্ট উদ্বেগগুলো নিয়ে সরাসরি কথা বলা; এবং তৃতীয়ত, সম্ভাব্য সহযোগিতার ক্ষেত্রগুলো অন্বেষণ করা- এই তিন উদ্দ্যেশের ওপর জোর দেন ব্লিঙ্কেন।