'আমরা সালমানকে হত্যা করবোই', আবারও হুমকি গ্যাংস্টার গোল্ডি ব্রারের!
গত বছর জুন মাস থেকে আবারও সক্রিয় হয়ে উঠেছে বিষ্ণোই গ্যাং। তারা যে বলিউড তারকা সালমান খানকে হুমকি চিঠি দিয়েছিল সে খবর তো পুরনো। এরপরেই জেলে বসে সাক্ষাতকারে, এমনকি ই-মেইলের মাধ্যমেও একাধিকবার সালমানকে খুন করার হুমকি দিয়েছেন লরেন্স বিষ্ণোই। এবার একই পথে হাঁটলো আরেক গ্যাংস্টার গোল্ডি ব্রার।
এই পলাতক গ্যাংস্টার ইন্ডিয়া টুডে চ্যানেলকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে সাফ জানিয়ে দিলেন, সালমান খান রয়েছেন তাদের হত্যা তালিকায়। প্রসঙ্গত, গত বছরের মে মাসে পাঞ্জাবি গায়ক-রাজনীতিবিদ সিধু মুসেওয়ালার হত্যার পেছনে এই গোল্ডি ব্রারের হাত ছিল।
গোল্ডি ব্রার বলেন, "আমরা ওকে মারব, আমরা ওকে মারবই মারবো। ভাইসাব (লরেন্স বিষ্ণোই) বলেছিলেন ওর ক্ষমা চাওয়া উচিত। বাবা তখনই করুণা দেখাবেন যখন তিনি করুণাময় বোধ করবেন।"
তিনি আরও বলেন। "যেমটা আমরা আগেও বলেছি। শুধু সালমান খান নন, আমরা আমাদের সব শত্রুকে এভাবেই শেষ করে দেওয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাবো। সালমান খান যে বর্তমানে আমাদের টার্গেট এ বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই। আমরা সফল হলে তো আপনি জানতেই পারবেন।"
মার্চ মাসে মুম্বাই পুলিশ 'বডিগার্ড' অভিনেতাকে হুমকি ই-মেইল পাঠানোর অভিযোগে গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোই এবং গোল্ডি ব্রারের বিরুদ্ধে মামলা করেছিল। সালমানের ঘনিষ্ঠ সহযোগী প্রশান্ত গুঞ্জালকারকে পাঠানো ই-মেইলে লেখা হয়েছিল, 'গোল্ডি ব্রার আপনার বসের (সালমান খান) সঙ্গে কথা বলতে চান। তিনি নিশ্চয়ই বিষ্ণোইয়ের সাক্ষাৎকারটি দেখেছেন। যদি না দেখে থাকেন, তাহলে দেখতে বলুন। যদি বিষয়টি বন্ধ করতে চান, তাহলে গোল্ডি ব্রারকে কথা বলার সুযোগ দিন। মুখোমুখি কথা বলা হবে। রাজি থাকলে জানান। সময় আপনাকে জানানো হবে। আর রাজি না থাকলে আসল চমক আসবে পরেরবার।'
প্রসঙ্গত, গত মাসে গোল্ডি ব্রারের নাম ছিল কানাডার টপ ২৫ মোস্ট-ওয়ান্টেড পলাতকদের তালিকায়।
১৯৯৮ সালে যোধপুরে ফিল্মের শ্যুটিং চলাকালীন দুটি কৃষ্ণসার হরিণ হত্যার অভিযোগ রয়েছে সালমান খানের উপর। সেই সময় থেকে বিষ্ণোই সম্প্রদায়ের চক্ষুশূল ভাইজান। এর আগে লরেন্স বিষ্ণোই জানিয়েছিলেন তাঁরা শার্প শ্যুটার ভাড়া করে সালমানকে গুলি করার চেষ্টা এর আগেও একবার করেছিলেন তবে কড়া নিরাপত্তার কারণে ব্যর্থ হন।