দুর্নীতির ৫ মামলায় অব্যাহতি পেলেন সাবেক স্পিকার জমির উদ্দিন সরকার
চিকিৎসাভাতার নামে সরকারি তহবিল থেকে ২৭ লাখ ৮৬ হাজার টাকা আত্মসাতের ঘটনায় জাতীয় সংসদের সাবেক স্পিকার ব্যারিস্টার মুহাম্মদ জমির উদ্দিন সরকারকে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পাঁচটি মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
রোববার (৯ জুলাই) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৭-এর বিচারক প্রদীপ কুমার রায় অব্যাহতির এই নির্দেশ দেন।
জমির উদ্দিন সরকারের আইনজীবী আব্দুল হান্নান গণমাধ্যমকে জানান, আদালতের আদেশের পর ২৭ লাখ ৮৬ হাজার টাকা সরকারি কোষাগারে জমা দেওয়ার কারণে সাবেক এ স্পিকারকে দুর্নীতির অভিযোগ থেকে আদালত অব্যাহতি দিয়েছেন।
মামলার অভিযোগপত্র অনুযায়ী, ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার সংসদ সচিবালয়ের আপত্তি উপেক্ষা করে ২০০৬ সালে বিদেশে নিজের চিকিৎসার খরচের অনুমোদন দেন। এরপর তিনি সংসদ সচিবালয় থেকে প্রায় ২৮ লাখ টাকা চিকিৎসাভাতা তোলেন। তখন তিনি লিখিত অঙ্গীকার দিয়েছিলেন — যদি তার এ কাজ অনৈতিক হয়, তাহলে তিনি টাকা ফেরত দেবেন।
তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া জমির উদ্দিন সরকারের চিকিৎসাভাতার বরাদ্দের অনুমতি না দিলেও সাবেক এ স্পিকার তার চিকিৎসা বিলের অনুমোদন তৈরি করে নিয়েছিলেন।
২০১০ সালের ২৮ ডিসেম্বর শেরেবাংলা নগর থানায় জমির উদ্দিনসহ মোট তিনজনের বিরুদ্ধে ৫টি ভিন্ন ভিন্ন মামলা দায়ের করে দুদক।
অভিযুক্ত বাকি দুইজন হলেন সাবেক ডেপুটি স্পিকার আখতার হামিদ সিদ্দিকী ও জাতীয় সংসদের তৎকালীন প্রধান হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা আশরাফুল ইসলাম।
এসব মামলায় ২০১২ সালের ৭ নভেম্বর অভিযোগপত্র দাখিল করে দুদক।
পরে মামলা বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন জমির উদ্দিন। কিন্তু শুনানির পরে মামলা চলবে বলে রায় দেন উচ্চ আদালত।
এরপর জমির উদ্দিন সরকার ওই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেন। পরে ২০২২ সালের ২৫ আগস্ট আপিল বিভাগ ৫টি মামলা বাতিল করে জমির উদ্দিনকে ওই অর্থ ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দেন।
আখতার হামিদের মৃত্যুর পর আদালত মামলা থেকে তাকে অব্যাহতি দিয়েছিলেন। তবে আশরাফুল ইসলামের বিরুদ্ধে মামলা এখনো চলমান আছে।