আম্বানি, বচ্চনদের ছবি ব্যবহার করে অনলাইনে প্রতারণা!
বড় ধরনের প্রতারণার খবর মিলেছে ভারতে; এবার অভিযুক্ত একজন চীনা নাগরিক। উড়িষ্যা ক্রাইম ব্রাঞ্চের ইকোনমিক অফেন্সেস উইং (ইওডব্লিউ)-এর অনুরোধে গুয়ানহুয়া ওয়াং নামের ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে লুকআউট সার্কুলার জারি করা হয়েছে।
ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে ব্যুরো অব ইমিগ্রেশন (বিওআই) ৪০ বছর বয়সী ওয়াং এর বিরুদ্ধে এই লুকআউট সার্কুলার (এলওসি) ইস্যু করেছে। ওয়াং এর বিরুদ্ধে অনলাইনে লাখ লাখ বিনিয়োগকারীর সঙ্গে প্রতারণার অভিযোগ রয়েছে। জানা গেছে, নিজের কোম্পানির মাধ্যমে ওয়াং ১০০ কোটি রূপি হাতিয়ে নিয়েছেন।
একজন অভিযুক্ত ব্যক্তি, যাকে পুলিশ খুঁজছে; সেই ব্যক্তি যেন দেশত্যাগ বা বিদেশ থেকে একটি দেশে প্রবেশের চেষ্টা না করে, সেজন্য বিমানবন্দরে বা সমুদ্রবন্দরে ইমিগ্রেশন চেকপোস্টে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে সতর্ক থাকার জন্য লুকআউট সার্কুলার (এলওসি) জারি করা হয়।
ইওডব্লিউ এর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ওয়াং চীনের হ্যাংঝু শহরের বাসিন্দা। ২০১৯ সালে তিনি ব্যাঙ্গালোরের ডিকেনসন রোডে 'বেটেক টেকনোলজিস প্রাইভেট লিমিটেড' নামে একটি প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন। "তিনি অবৈধ পরিচালকদের মাধ্যমে ব্যাঙ্গালোরে আরও অন্তত দুটি কোম্পানি চালান- গেমক্যাম্প সলিউশনস প্রাইভেট লিমিটেড এবং ব্যারনটেক টেকনোলজিস প্রাইভেট লিমিটেড। ২০১৯ থেকে ২০২০ সালের মধ্যে তিনি ছয়বার (মূলত ব্যাঙ্গালোরে) ভারত ভ্রমণ করেন।"
ইওডব্লিউ বলেছে, ভারতে থাকা কিছু সহযোগীদের সাহায্য নিয়ে চীনে বসে ওয়াং এই প্রতারণামূলক অনলাইন পঞ্জি স্কিম চালাতেন। সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করতে বা তাদের বিশ্বাস অর্জন করতে তিনি হোয়াটসঅ্যাপ, টেলিগ্রাম কিংবা অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে অমিতাভ বচ্চন, মুকেশ আম্বানি, রতন টাটা, শচীন টেন্ডুলকার, অক্ষয় কুমার ও মণীশ পালের মতো তারকাদের ছবি অবৈধভাবে ব্যবহার করে বিজ্ঞাপন দিতেন।
শুধু তাই নয়, জনসাধারণকে বিভ্রান্ত করতে তারা টাটার মতো বড় কোম্পানিগুলোর লোগো বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে ব্যবহার করতো। ওয়াং ও তার দলের এই প্রতারণার শিকার হয়েছে মূলত নিম্নমধ্যবিত্ত শ্রেণীর মানুষেরা, যাদের মধ্যে শিক্ষার্থীরাও আছেন। অতি অল্প সময়ে শর্টকাট উপায়ে ধনী হওয়ার লোভে ওয়াং এর প্রতারণার ফাঁদে পা দিয়েছিলেন তারা।
ইওডব্লিউ ওয়াং এর কোম্পানির অ্যাকাউন্ট থেকে ৭০ রাখ রূপি বাজেয়াপ্ত করেছে।