৭ উইকেটের সবকটি বোল্ড, ইদ্রুসের বিশ্বরেকর্ড
টি-টোয়েন্টিকে বলা হয় ব্যাটসম্যানদের ফরম্যাট। ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ততম এই ফরম্যাটে সব সময়ই চাপে থাকতে হয় বোলারদের। কোটার চার ওভার পূরণ করতে গিয়ে অনেককেই পড়তে হয় ব্যাটসম্যানদের ঝড়ের কবলে। এই ফরম্যাটেই সায়াজরুল ইদ্রুস এমন পারফরম্যান্স করলেন, টি-টোয়েন্টির ইতিহাসে যা প্রথম। ইতিহাস গড়ার দিনে মালয়েশিয়ার এই পেসার ৭টি উইকেট নিয়েছেন, এই ফরম্যাটে প্রথমবারের মতো কোনো বোলার ৭টি উইকেট নিলেন।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের এশিয়া 'বি' বাছাইপর্বে চীনের বিপক্ষে ইদ্রুস যে ৭টি উইকেট নিয়েছেন, এতে কারও কোনো সহায়তা লাগেনি। ৭ বারই ব্যাটসম্যানদের বোল্ড করে উইকেটের উল্লাসে মাতেন তিনি। টি-টোয়েন্টি ইতিহাসের সেরা বোলিংয়ের পাশাপাশি এটাও বিশ্ব রেকর্ড ইদ্রুসের। এর আগে কোনো বোলারই ৫ বা তার বেশি উইকেট নেওয়ার ইনিংসে সবকটি উইকেট বোল্ড থেকে পাননি।
চার ওভারে ৭ উইকেট নিতে ইদ্রুসের খরচা মাত্র ৮ রান, এর মধ্যে একটি ওভার মেডেন করেন। তার বোলিং ফিগার ৪-১-৮-৭। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে এটাই এখন সেরা বোলিং। এই ফরম্যাটে সেরা বোলিংয়ের রেকর্ড ছিল নাইজেরিয়ার পিটোর আহোর। সিয়েরা লিওনের বিপক্ষে ৫ রানে ৬ উইকেট নিয়েছিলেন তিনি। স্বীকৃত টি-টোয়েন্টিতেও সেরা বোলিংয়ের রেকর্ডটি এখন ইদ্রুসের। আগের রেকর্ডটি কলিন আকারম্যানের, ইংল্যান্ডের টি-টোয়েন্টি ব্লাস্টে ১৮ রানে ৭ উইকেট নেন তিনি।
বিশ্ব রেকর্ড গড়ার দিনে সায়াজরুলের শুরুটা অবশ্য বিধ্বংসী ছিল না। নিজের করা প্রথম ওভারে কোনো উইকেট পাননি তিনি, খরচা করেন ৪ রান। দ্বিতীয় ওভার থেকে শুরু হয় তার সাইক্লোন। এই ওভারে বোল্ড করেন চার ব্যাটসম্যানকে, চার উইকেট পেলেও হ্যাটট্রিক হয়নি। প্রথম ও তৃতীয় বলে উইকেট নেওয়ার পর শেষ দুই বলে নেন টানা দুই উইকেট। নিজের তৃতীয় ওভারে এক উইকেট নেওয়া ইদ্রুস চতুর্থ ওভারে কোনো রান না দিয়েই নেন আরও দুই উইকেট।
ইদ্রুসের তাণ্ডবের ম্যাচে লণ্ডভণ্ড হয়ে যায় প্রথম আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি খেলতে নামা চীনের। ১১.২ ওভারে মাত্র ২৩ রানেই গুটিয়ে যায় তাদের ইনিংস। দলটির ৬ জন ব্যাটসম্যান শূন্য রানে আউট হন, সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত রানের ইনিংস ৭। জবাবে মালয়েশিয়ার দুই ওপেনারও রানের খাতা খোলার আগেই সাজঘরে ফেরেন, তবে জয় তুলে নিতে কোনো বেগ পেতে হয়নি তাদের। ৪.৫ ওভারে ৮ উইকেটের জয় তুলে নেয় মালয়েশিয়া।