২০২৪ সাল শেষে ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী অঞ্চলের বিদ্যুৎ ব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তনের আশা চীনা কর্মকর্তার
'পাওয়ার সিস্টেম নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ ও শক্তিশালীকরণ' শীর্ষক প্রকল্পের পূর্ণ বাস্তবায়নের পর ঢাকা শহর ও তৎসংলগ্ন নারায়ণগঞ্জের বিদ্যুৎ ব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তন আসবে, যা হবে ডিজিটাল ঢাকা শহরের মূলভিত্তি। এমনটাই জানিয়েছেন চীনের এক জ্যৈষ্ঠ কর্মকর্তা।
টিবিইএ'র ইন্টারন্যাশনাল মার্কেট ম্যানেজমেন্টের পরিচালক মা ইউএনবিকে বলেন, "এ পর্যন্ত প্রকল্পের ৭০ শতাংশেরও বেশি কাজ সম্পন্ন হয়েছে।"
তিনি বলেন, ২০২৪ সালের শেষ নাগাদ পুরো প্রকল্পটি সম্পন্ন করে ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের (ডিপিডিসি) কাছে হস্তান্তর করা হবে।
পরিচালক মা বলেন, টিবিইএ ১ দশমিক ৬৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের একটি প্রকল্পের অধীনে কাজ করছে, যার অধীনে বেশ কয়েকটি উপপ্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে।
বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের পর থেকে এই প্রকল্পটি দুই দেশের সরকারের মধ্যে বৃহত্তম বিদ্যুৎ সহযোগিতা প্রকল্প।
চীনা পক্ষ বলেছে, প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে পাওয়ার গ্রিড সিস্টেম উন্নত মানের হবে এবং বাংলাদেশের সরকারি বিভাগ ও জনগণকে সেবা দিতে এবং বাংলাদেশের সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নকে আরও ভালোভাবে প্রচার করতে সক্ষম হবে।
২৪টি দেশের ২৪ হাজারেরও বেশি কর্মী নিয়ে সবুজ ও স্বল্প কার্বন উন্নয়নে নিবেদিত বৈশ্বিক জ্বালানি শিল্পের জন্য সিস্টেম সলিউশনের আন্তর্জাতিক সেবাপ্রদানকারী প্রতিষ্ঠান টিবিইএ চীন ও বাংলাদেশের মধ্যে 'বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ' সহযোগিতা ও উন্নয়নের আওতায় এই প্রকল্পটি দেখভাল করছে।
পরিচালক মা বলেন, প্রকল্পের আওতায় মোট ৪৪টি সাবস্টেশন স্থাপন করা হচ্ছে।
হাতিরঝিল লেক ও ধানমন্ডি আবাসিক এলাকার ঝুলন্ত তারগুলো ভূগর্ভস্থ করা হবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চীন সফরকালে দেশটির প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের উপস্থিতিতে এই প্রকল্পের অর্থায়ন সই হওয়ায় বাংলাদেশ এই প্রকল্পকে ঢাকার জন্য ঐতিহাসিক প্রকল্প হিসেবে আখ্যায়িত করেছে।
বাংলাদেশ সরকার মনে করে, প্রকল্পটি ঢাকা শহরের বিদ্যুৎ বিতরণ নেটওয়ার্কের আধুনিকায়ন ও ডিজিটাইজেশনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে, কেননা জমির ব্যবহার বাঁচিয়ে ভূগর্ভস্থ কিছু সাবস্টেশন নির্মাণ করা হবে।
টিবিইএ কোম্পানি লিমিটেডে সফররত বাংলাদেশি গণমাধ্যমের প্রতিনিধি দলকে ব্রিফিংকালে এর পরিচালক মা বলেন, ২০২২ সালে কোম্পানির ১৯৮ বিলিয়ন ইউয়ানের সম্পদ ছিল এবং ২৮ দশমিক ৬ বিলিয়ন ইউয়ান মুনাফা অর্জন করে, যা আগের বছরের তুলনায় ১২২ শতাংশ বেশি।
প্রতিনিধি দলটিতে ছিলেন- দৈনিক যুগান্তরের প্রধান প্রতিবেদক মাসুদ করিম, দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডের উপ-সম্পাদক টিটু দাস গুপ্ত, দ্য ফিন্যান্সিয়াল এক্সপ্রেসের বিশেষ প্রতিবেদক মীর মোস্তাফিজুর রহমান, দ্য ডেইলি স্টারের কূটনৈতিক প্রতিবেদক পরিমল পালমা, ইউএনবির বিশেষ প্রতিবেদক একেএম মঈনুদ্দিন, ইন্ডিপেন্ডেন্ট টিভির বিশেষ প্রতিবেদক নাফিজা দৌলা, এটিএন নিউজের প্রধান প্রতিবেদক আশিকুর রহমান অপু, দৈনিক সমকালের কূটনৈতিক প্রতিবেদক তাসনিম মহসিন মিশু, যমুনা টিভির জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক আহমেদ রেজা এবং সময় টিভির কূটনৈতিক প্রতিবেদক তাজওয়ার মাহমিদ।