আম্পানে লণ্ডভণ্ড কলকাতা, ১২ জনের মৃত্যু
ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কলকাতায় সর্বোচ্চ ১৩০ কিলোমিটার বেগে আঘাত হেনেছে প্রবল শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় আম্পান। ঝড়ের তাণ্ডবে কলকাতাসহ পশ্চিমবঙ্গের সমুদ্র উপকূলীয় অঞ্চল লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে। এখন পর্যন্ত ১০ থেকে ১২ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
ঘূর্ণিঝড় চলার সময়েই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
তিনি বলেন, আম্পানে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞের খবর মিলছে। এখন পর্যন্ত ১০ থেকে ১২ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। খবর আনন্দবাজার পত্রিকার।
শুক্রবার থেকে আবহাওয়ার উন্নতি হবে। উড়িষ্যা ও কলকাতায় ঝড়ের সঙ্গে ব্যাপক বৃষ্টিপাতও হচ্ছে। হাওড়া এবং হুগলি এলাকাতেও ব্যাপক তাণ্ডব চলছে। উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগণার বিভিন্ন এলাকায় প্রায় সাড়ে ৫ হাজার মাটির ঘর ভেঙ্গে পড়েছে।
দুই জেলায় এরই মধ্যে সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। সুন্দরবন উপকূলের বিভিন্ন এলাকায় বেশ কিছু বাধ ভেঙ্গে আশেপাশের গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। পূর্ব মেদিনীপুরেও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। কলকাতার বিভিন্ন জায়গায় অন্তত ২৭টি গাছ ভেঙ্গে পড়েছে। বিভিন্ন স্থানে আরও ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে।
হাওড়ায় ঘরের টিন এসে মাথায় আঘাত করলে হাওড়ায় ১৩ বছরের কিশোরী মারা গেছে। উত্তর চব্বিশ পরগনার মিনাখাঁয় এক নারী গাছচাপা পড়ে মারা গেছেন। উত্তর চব্বিশ পরগনার বসিরহাটেও এক যুবক গাছচাপা পড়ে মারা গেছেন। গোটা রাজ্যে ধ্বংস হয়ে গেছে হাজার হাজার কাঁচা বাড়ি, জমির ফসল। উপড়ে পড়েছে বিদ্যুতের খুঁটি। মোবাইল টাওয়ার। ভেঙে গেছে বহু পুরোনো বাড়িঘর। ভেঙেছে সুন্দরবন অঞ্চলের বহু নদীর বাঁধ। প্লাবিত হয়েছে আশপাশের গ্রাম। মারা গেছে বহু গবাদিপশু।
ইতোমধ্যে কলকাতাজুড়ে শত শত গাছ ও বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙে পড়ায় সড়ক যোগাযোগ কার্যত বন্ধ হয়ে গেছে। বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েছে গোটা শহর। গাছ ভেঙে পড়েছে অলিতে গলিতে।