ভ্যাট কমিশনারেট চট্টগ্রাম: লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১১৬৮ কোটি টাকা বেশি রাজস্ব আদায়, প্রবৃদ্ধি ৩৮.৭১ শতাংশ
কাস্টম এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট চট্টগ্রামের ২০২২-২৩ অর্থবছরে ভ্যাট রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১৩,৯৬৩ কোটি টাকা। এই লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে আদায় হয়েছে ১৫,১৩১ কোটি টাকা। অর্থাৎ লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১,১৬৮ কোটি টাকা বেশি রাজস্ব আদায় হয়েছে।
এই ভ্যাট কমিশনারেটে ২০২১-২২ অর্থবছরে আদায় হয়েছিলো ১০,৯০৯ কোটি টাকা। অর্থাৎ এক অর্থবছরের ব্যবধানে ভ্যাট রাজস্ব আদায় বেড়েছে ৪,২২২ কোটি টাকা। প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৩৮.৭১ শতাংশ।
নজরদারি বৃদ্ধি, বকেয়া ভ্যাট রাজস্ব আদায়, ব্যবসায়ীদের ভ্যাট রাজস্ব পরিশোধে ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি সৃষ্টির কারণে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি রাজস্ব আদায় হয়েছে বলে জানিয়েছেন ভ্যাট কমিশনারেটের কর্মকর্তারা।
চট্টগ্রাম কাস্টম এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেটের কমিশনার সৈয়দ মুসফিকুর রহমান বলেন, জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির একটি বড় সুফল এসেছে ভ্যাট রাজস্ব আদায়ে। এছাড়া চট্টগ্রামের বৃহৎ শিল্প প্রতিষ্ঠানের কাছে বকেয়া ভ্যাট রাজস্ব আদায় হওয়ার কারণে ভ্যাট আদায় বেড়েছে। এছাড়া ভ্যাট ফাঁকি কমিয়ে আনতে কাজ করেছেন ভ্যাট বিভাগের কর্মকর্তারা। এসব কারণে বৈশ্বিক বাণিজ্য মন্দার সময়েও লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি ভ্যাট আদায় হয়েছে।
ইএফডি (ইলেকট্রনিক ফিসক্যাল ডিভাইস) কার্যক্রম বৃদ্ধি, সময়মতো অনলাইনে ভ্যাট রিটার্ন দাখিল নিশ্চিত করা, ভ্যাট নিবন্ধিত প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা বৃদ্ধির কারণেও ভ্যাট আদায়ের পরিমাণ আগের তুলনায় বেড়েছে। আশা করছি এই ধারাবাহিকতা পরবর্তী অর্থবছরে অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছে ভ্যাট কমিশনার।
ভ্যাট কমিশনারেটের তথ্য মতে, ২০২১-২২ এবং ২০২০-২১ অর্থবছরে চট্টগ্রাম ভ্যাট কমিশনারেটে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে কম রাজস্ব আদায় হয়েছিলো। ২০২১-২২ অর্থবছরে ১৩,০৩০ কোটি টাকা লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে আদায় হয় ১০,৯০৯ কোটি টাকা। লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে কম আদায় হয় ২,১২১ কোটি টাকা।
২০২০-২১ অর্থবছরে ভ্যাট রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিলো ১১,১৯৮ কোটি টাকা। আদায় হয়েছিলো ৯,৯৪০ কোটি টাকা। লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১৭৫৮ কোটি টাকা কম রাজস্ব আদায় হয়।
ভ্যাট কমিশনারেটের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৯-২০ অর্থবছরে ৮৮৬৬ কোটি টাকা, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ১০৩৮২ কোটি টাকা, ২০১৭-১৮ অর্থবছরে ৮৫৩৩ কোটি টাকা, ২০১৬-১৭ অর্থবছরে ৭০৮৯ কোটি টাকা ভ্যাট রাজস্ব আদায় হয়েছিলো।
চট্টগ্রাম কাস্টম এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেটের আওতাধীন ৮টি ভ্যাট বিভাগ রয়েছে। এগুলো হচ্ছে আগ্রাবাদ বিভাগ, চান্দগাঁও বিভাগ, চট্টলা বিভাগ, রাঙামাটি বিভাগ, পটিয়া বিভাগ, কক্সবাজার বিভাগ, খাগড়াছড়ি বিভাগ এবং বান্দরবান বিভাগ।