দেশে মদ বিক্রিতে নতুন রেকর্ড, কেরু এ্যান্ড কোম্পানির নিট মুনাফা ৫৮ কোটি টাকা
২০২২-২৩ অর্থবছরে রেকর্ড পরিমাণ মদ উৎপাদন ও বিক্রি করেছে কেরু এ্যান্ড কোম্পানি। সূত্রমতে, এ সময় ৫৭ লাখ ৭৩ হাজার প্রুফ লিটার মদ বিক্রি করে কোম্পানিটি আয় করেছে প্রায় ৪৩৯ কোটি টাকা। অন্যান্য পণ্যের আয়-ব্যয় মিলিয়ে ও রাজস্ব দেওয়ার পর গত অর্থবছরে কেরুর নিট মুনাফা দাঁড়িয়েছে প্রায় ৫৮ কোটি টাকা।
কেরুর সর্বশেষ অডিট রিপোর্ট অনুযায়ী, গত অর্থবছরে ২০২১-২২ অর্থবছরের চেয়ে প্রায় ৯ কোটি টাকা বেশি নিট মুনাফা করেছে কোম্পানিটি।
কেরু অ্যান্ড কোংয়ের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন বলেন, চলতি অর্থবছরে ১০০ কোটি টাকার মুনাফা অর্জনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে কোম্পানিটি।
গত অর্থবছরে চিনিকল ছাড়া কেরু এ্যান্ড কোম্পানির বাকি সব ইউনিটই লাভের মুখ দেখেছে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড অ্যালকোহল আমদানিতে বিধিনিষেধ আরোপের পর ২০২১ সাল থেকে দেশে মদের চাহিদা বেড়ে যাওয়ার পর থেকে কোম্পানিটি লাভের মুখ দেখছে।
কেরুর মোট ছয়টি ইউনিট রয়েছে: চিনি, ডিস্টিলারি, ফার্মাসিউটিক্যাল, বাণিজ্যিক খামার, আকন্দবাড়িয়া খামার (পরীক্ষামূলক) ও জৈব সার।
২০২২-২৩ অর্থবছরে কেরুর ইতিহাসে সর্বনিম্ন মাড়াই হওয়ায় চিনি উৎপাদন অনেক কম হয়েছে।
আখ চাষ ও উৎপাদন বৃদ্ধি সম্ভব না হলে চিনিকলের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিয়তার মুখে পড়বে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন। এ কারণে আখ উৎপাদন বাড়াতে উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে বলে জানান কর্মকর্তারা।
২০২২-২৩ অর্থবছরে কেরুতে প্রায় ৪.৬ লাখ টন আখ মাড়াই করে ২ হাজার ৩৮২ মেট্রিক টন চিনি উৎপাদন করা হয়। এরপর আখের অভাবে বন্ধ হয়ে যায় মিলটি।
২০২২-২৩ অর্থবছরে কেরুর ডিস্টিলারি ইউনিট প্রায় ৪৩৯ কোটি টাকা আয় করেছে। রাজস্ব জমা দিয়েছে ১৪৫ কোটি ৫০ লাখ টাকা। ডিস্টিলারির লাভ হয় ১৫২ কোটি টাকা।
৩০ বছর পর গত অর্থবছরে কেরুর ৯টি কৃষি খামার ও একটি পরীক্ষামূলক খামার থেকে লাভ হয়েছে ২০ লাখ টাকা। ২০২১-২২ অর্থবছরে লোকসান হয়েছিল ৩ কোটি ৪৪ লাখ টাকা।
দেশে কেরুর ১৩টি ওয়্যারহাউস ও ৩টি বিক্রয়কেন্দ্র রয়েছে।
কেরুর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন লোকসানি চিনি ইউনিট সম্পর্কে বলেন, 'আখ উৎপাদন ও মিলের উৎপাদন বাড়াতে আমরা নিয়মিত কাজ করছি। কৃষকদের আখ চাষে আগ্রহী করে তুলতে নানা উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। আখের দাম বৃদ্ধি করা হয়েছে। কৃষি খামার ৩০ বছর পর লাভের মুখ দেখলো। একমাত্র চিনিকল ছাড়া সব ইউনিট লাভজনক। বর্তমানে ডিস্টিলারি ও চিনিকল ইউনিট আধুনিকায়নের কাজ চলছে।'