২০৩০ সাল পর্যন্ত ইন্টারনেট ঘাটতি হবে না: মোস্তাফা জব্বার
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী জনাব মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, 'বর্তমানে তরুণদের চাহিদা দ্রুতগতির ইন্টারনেট। বর্তমানে আমরা নিজেরা ইন্টারনেট ব্যবহার করে রপ্তানিও করছি। আগামী বছর তৃতীয় সাবমেরিন ক্যাবল যুক্ত হবে। ফলে ২০৩০ সাল পর্যন্ত আমাদের ইন্টারনেটের কোনো ঘাটতি হবে না।'
শনিবার (১৯ আগস্ট) ঢাকায় বসুন্ধরা আন্তর্জাতিক কনভেনশন হলে ন্যাশনাল ফ্রিল্যান্সার কনফারেন্সের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন মন্ত্রী।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী ইন্টারনেটকে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় জ্ঞানভান্ডার আখ্যায়িত করে বলেন, জ্ঞান ও দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য ইন্টারনেট ব্যবহার করতে হবে। ফ্রিল্যান্সার হওয়ার জন্য সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন যোগাযোগ দক্ষতা অর্জন।
তিনি বলেন, 'নতুন প্রজন্মকে উপযুক্ত পরিবেশ এবং সুযোগ দিতে পারলে তাদের পক্ষে সুফল অর্জন করা সম্ভব।'
ফ্রিল্যান্সিং প্রশিক্ষণের সুযোগ কাজে লাগিয়ে মধুপুরের দুর্গম পাহাড়ের গায়রা গ্রামের একজন তরুণ গোটা এলাকার জীবনধারা পাল্টে দিয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, 'তাদের উচ্চগতির ইন্টারনেট সংযোগের ব্যবস্থা করে দেওয়ার পর ঐ গ্রামের তিন শতাধিক ছেলেমেয়ে প্রত্যন্ত পাহাড়ে বসে প্রতিমাসে কয়েক হাজার ডলার আয় করছে।'
একই অবস্থা সুনামগঞ্জের ধর্মপাশার আহমেদপুর গ্রামে। হাওরের এই প্রত্যন্ত গ্রামে এখন ৪৮ জন প্রোগ্রামার আউটসোর্সিংয়ে প্রোগ্রাম তৈরি করে বৈদেশিক মুদ্রা আয় করছে বলে মন্ত্রী উল্লেখ করেন।
১৯৮৭ সাল থেকে সাইত্রিশ বছর ডিজিটাল প্রযুক্তিতে কাজ করার অভিজ্ঞতা তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, 'বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের ছাত্র হওয়া সত্ত্বেও কম্পিউটার প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করে প্রকাশনা ও মুদ্রণ শিল্পে সীসার হরফের পরিবর্তে কম্পিউটারে বাংলা সংবাদপত্র প্রকাশ করেছি।'
মোস্তাফা জব্বার বলেন, 'ডিজিটাল কনটেন্টের মাধ্যমে এক বছরের পাঠক্রম শিক্ষার্থীরা অনায়াসে তিন মাসে শেষ করতে পারছে।'
তিনি বলেন, 'আমি খুশির সংবাদ দিতে চাই। আমরা তৃতীয় সাবমেরিন ক্যাবলটি আগামী বছর সংযুক্ত করতে পারবো। এর ফলে ২০৩০ সাল পর্যন্ত ব্যান্ডউইথডের চাহিদা সম্পূর্ণ দেয়া যাবে।'
দেশের তিন হাজার ফ্রিল্যান্সার নিয়ে জাতীয় ফ্রিল্যান্সার সম্মেলন ২০২৩ নামের এই আয়োজন করছে 'ফ্রিল্যান্সার অব বাংলাদেশ (এফওবি)' নামের ফেসবুক গ্রুপ। দিনব্যাপী ফ্রিল্যান্সার সম্মেলনে কিভাবে ফ্রিল্যান্সারা আন্তর্জাতিকভাবে আরও ভালো করতে পারে সেটি বিভিন্ন সেশনে আলোচনা করেন তথ্যপ্রযুক্তি পেশাজীবী ও সফল উদ্যোক্তারা।
রাত ৯টা পর্যন্ত ১২ ঘণ্টার এ সম্মেলনে ৫টি প্যানেল আলোচনা অনুষ্ঠিত হয় যেখানে গ্রাফিক ডিজাইন, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, ডিজিটাল মার্কেটিং, এসইও (সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশোন) ইত্যাদি নিয়ে আলোচনা চলে।