ভারতে শুল্ক, ভোমরা বন্দরে কেজিতে ১৫ টাকা বাড়লো পেঁয়াজের দাম
ভারত সরকারের পেঁয়াজ রপ্তানির ওপর ৪০ ভাগ শুল্ক নির্ধারণের প্রভাব পড়েছে বাংলাদেশের বন্দরে। সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দরে ভারতীয় পেঁয়াজের দাম কেজিতে ১৫ টাকা বেড়েছে। এতে ইতোমধ্যেই অস্থিরতা শুরু হয়েছে খোলা বাজারে।
আমদানিকারকরা বলছেন, পেঁয়াজের দাম আরও বাড়বে।
আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান মেসার্স সৃষ্টি ট্রেডিংয়ের স্বত্বাধিকারী দিপু রায় জানান, ভারতে শুল্ক নির্ধারণের পূর্বে ভারতীয় পেঁয়াজ প্রতিকেজি বিক্রি হতো ৪৫-৫০ টাকায়। এখন আমদানি খরচ বেড়ে যাওয়ায় বন্দরে প্রতিকেজি পেঁয়াজে ১৫ টাকা করে বাড়তি দাম নেওয়া হচ্ছে।
এছাড়া, আমদানিও কমে গেছে বলে জানান তিনি। ফলে পেঁয়াজের দাম আরও বাড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
"যেখানে দৈনিক ৮০-১০০ ট্রাক পেঁয়াজ আমদানি হতো। রোববার (২০ আগস্ট) আমদানি হয়েছে মাত্র ৪০ ট্রাক," বলেন দিপু।
আমদানিকারক এসআর ইন্টারন্যাশনালের স্বত্বাধিকারী সাদ্দাম হোসেন বলেন, "ভারত সরকার এর আগে কখনও পেঁয়াজ রপ্তানির ওপর শুল্ক নেয়নি। এই প্রথম শুল্ক আরোপ করেছে। এতে একদিকে যেমন দাম বেড়েছে, তেমনি বাজারে শুরু হয়েছে অস্থিরতা।"
ভোমরা সিঅ্যান্ডএফ অ্যায়োসিয়েশনের সভাপতি কাজী নওশাদ দিলওয়ার রাজু বলেন, "ভারত পেঁয়াজ রপ্তানি করতে চায় না। সে কারণেই সরাসরি নিষেধাজ্ঞা না দিয়ে শুল্ক আরোপ করেছে ব্যবসায়ীদের নিরুৎসাহিত করতে। এতে শুধু ভোমরা বন্দরে নয় সারাদেশেই পেঁয়াজের বাজার অস্থিতিশীল হয়ে উঠবে। দাম অনেক বেড়ে যাবে।"
দেশের বাজারে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে এ ব্যাপারে বাংলাদেশ সরকারকে ভারত সরকারের সঙ্গে আলোচনা করে শুল্ক প্রত্যাহারের ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান তিনি।
"অন্যথায় পেয়াজ রপ্তানি বন্ধ হয়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কারণ ভারতীয় পেঁয়াজের মূল্য দেশি পেঁয়াজের থেকেও বেশি হয়ে যাবে। তখন আমদানি বন্ধ করে দেবে আমদানিকারকরা," যোগ করেন তিনি।
এদিকে, খোলা বাজারে ইতোমধ্যেই শুরু হয়েছে অস্থিরতা। দেশি ও ভারতীয় পেঁয়াজের দাম প্রতিকেজিতে ১৫ থেকে ২০ টাকা বেড়েছে।
শুল্ক আরোপের আগে, বাজারে ভারতীয় পেঁয়াজ বাজারে বিক্রি হচ্ছিল ৫০-৫৫ টাকায়, সেটি এখন বিক্রি হচ্ছে ৭০-৭৫ টাকায়। এছাড়া দেশি পেয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৮০-৯০ টাকায়, যা আগে বিক্রি হচ্ছিল ৬৫-৭০ টাকায়।