চতুর্থবারেও ব্যর্থ! অবসরে যাচ্ছেন না হায়াও মিয়াজাকি
গত জুলাইয়ে মুক্তি পেয়েছিল অ্যানিমেশন মাস্টার হায়াও মিয়াজাকি পরিচালিত চলচ্চিত্র 'দ্য বয় অ্যান্ড দ্য হেরন' (হাউ ডু ইউ লিভ)। ছবিটি মুক্তির পরপরই জাপানে প্রেক্ষাগৃহের সামনে ভক্তদের দীর্ঘ সারি চোখে পড়েছে। ওই সময় বলা হয়েছিল 'দ্য বয় অ্যান্ড দ্য হেরন'ই হবে মিয়াজাকির শেষ সিনেমা। কিন্তু স্টুডিও জিবলির নির্বাহী কর্মকর্তা জুনিচি নিশিওকা বলেছেন, এখনই অবসরে যাওয়ার ইচ্ছা নেই বিশ্বনন্দিত এই নির্মাতার।
সিবিসি নিউজকে নিশিওকা জানান, আরও একটি সিনেমা তৈরির জন্য সক্রিয়ভাবে কাজ করছেন মিয়াজাকি।
টরন্টো আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে নিশিওকা সিবিসি'কে বলেন, "অনেকেই বলে যে 'দ্য বয় অ্যান্ড দ্য হেরন'ই মিয়াজাকির শেষ সিনেমা। কিন্তু তিনি এখন অবসরে যাওয়ার কথা ভাবছেন না। এই মুহূর্তে তিনি নতুন একটি চলচ্চিত্রের আইডিয়া নিয়ে কাজ করছেন। তিনি প্রতিদিন অফিসে আসছেন এবং কাজ করছেন। এবার তিনি অবসরের ঘোষণা দেবেন না। আগে যেমন কাজ করতেন, তেমনই কাজ করে যাবেন।"
নিশিওকার কথার মধ্যে অনেকেই হয়তো প্রিয় পরিচালকের সিনেমা আবারও দেখতে পাওয়ার নিশ্চয়তা খুঁজে পাবেন।
এর আগে ১৯৯৭ সালে 'প্রিন্সেস মনোনোকে' মুক্তির পর মিয়াজাকি বলেছিলেন তিনি অবসরে যাওয়ার পরিকল্পনা করছেন। কিন্তু তা হয়ে ওঠেনি। এরপর ২০০১ সালে 'স্পিরিটেড অ্যাওয়ে' মুক্তির পরে এবং ২০১৩ সালে 'দ্য উইন্ড রাইজেস' মুক্তির পরেও তিনি একই ঘোষণা দেন, কিন্তু শেষ পর্যন্ত আর অবসর নেননি মিয়াজাকি।
এক দশক আগে মিয়াজাকি বলেছিলেন, "আগেপরেও অবসরের কথা বলে আমি আলোড়ন সৃষ্টি করেছি। তবে এবার আমি বিষয়টি গুরুত্বের সাথে নিয়েছি। আমি আরও অনেককিছুই করতে চাই, তবে সেখানে অ্যানিমেশনের স্থান নেই।"
গত ১৪ জুলাই জাপানের প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে 'দ্য বয় অ্যান্ড দ্য হেরন'। আল জাজিরার প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ১৯৩৭ সালে জাপানিজ লেখক গেঞ্জাবুরো ইয়োশিনোর প্রকাশিত উপন্যাস থেকে সিনেমাটির নামকরণ করা হয়েছে। 'হাউ ডু ইউ লিভ' উপন্যাসটিতে একজন কিশোর ও তার আংকেলকে কেন্দ্র করে দারিদ্র্য এবং আধ্যাত্মিকতা সম্পর্কিত বিষয়গুলো ফুটে উঠেছে।