ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে ‘ডকুমেন্ট জালিয়াতি’ করে শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলা করার অভিযোগ
গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান নোবেলবিজয়ী ড. মোহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগের মামলাটি যে ডকুমেন্টের (চেকলিস্ট) ভিত্তিতে করা হয়েছে, সেটি জালিয়াতি করে তৈরি করার অভিযোগ করেছেন আইনজীবীরা।
জালিয়াতির অভিযোগে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের শাস্তি চেয়ে এই এ মামলার বিচারকাজ অধস্তন আদালতে (ঢাকার ১ম শ্রেণির ম্যাজিস্ট্রেট আদালত) বদলী করার আবেদন করা হয়েছে।
বুধবার ঢাকার ৩য় শ্রম আদালতের বিচারক মেরিনা ইয়াসমিনের আদালতে আবেদনটি উপস্থাপন করেন ড. ইউনূসের আইনজীবী ব্যারিস্টার আব্দুল্লাহ আল মামুন ও ব্যারিস্টার খাজা তানভীর আহমেদ।
আইনজীবীরা জানান, এই বিষয়ে শুনানি হলেও আদালত কোনো আদেশ দেননি। পরবর্তীতে আদেশ দেবেন বলে আদালত জানিয়েছেন।
এদিকে এই মামলায় ড. ইউনূসের জামিন বাতিল চেয়ে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের আইনজীবী খুরসীদ আলম খান মৌখিকভাবে আবেদন করলেও সেটি আমলে নেয়নি আদালত।
বুধবার এই মামলার বাদী ও মূল সাক্ষী কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের পরিদর্শক তরিকুল ইসলামকে জেরার দিন দার্য ছিল। তাকে জেরা করেন ইউনূসের আইনজীবী। আগামী ২০ সেপ্টেম্বর জেরার জন্য পরবর্তী দিন ধার্য করা হয়েছে।
জেরা করার সময় ইউনূসের পক্ষে আবেদনে বলা হয়, মূল সাক্ষীর জবানবন্দি আদালত রেকর্ড করার পর তাকে আসামপিক্ষে জেরা করা হয়। জেরা করার সয় সাক্ষী স্বীকার করেন যে আসল ডকুমেন্ট দাখিল না করে জাল ডকুমেন্ট যুক্ত করে মামলা করা হয়েছে।
ব্যারিস্টার আব্দুল্লাহ আল মামুন টিবিএসকে বলেন, "আমরা শ্রম আদালতকে বলেছি, এই মামলা যেহেতু জাল ডকুমেন্ট নির্ভর। তাই এই মামলা শ্রম আদালতে চলতে পারে না। জাল ডকুমেন্টের ওপর ভিত্তি করে মামলা হওয়ায়, বাদীর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। তাই এই জালিয়াতির অভিযোগের বিচারের জন্য মামলাটি ঢাকার কোনো ১ম শ্রেণির ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে বদলী করা হোক।"
গত ৫ সেপ্টেম্বর থেকে শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান ও নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ চারজনের বিরুদ্ধে প্রথম সাক্ষীর জবানবন্দি গ্রহণের মাধ্যমে বিচার শুরু হয়।
এই মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, আইন অনুযায়ী গ্রামীণ টেলিকমের শ্রমিকদেরকে ৫ শতাংশ ডেভিডেন্ট না দিয়ে তা আত্মসাৎ করেছেন ড. ইউনূসসহ কোম্পানির চার কর্মকর্তা।