ডাম্বলডোরের চরিত্রে অভিনয় করা ব্রিটিশ অভিনেতা মাইকেল গ্যাম্বন মারা গেছেন
ব্রিটিশ-আইরিশ অভিনেতা মাইকেল গ্যাম্বন বৃহস্পতিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) ৮২ বছর বয়সে মারা গেছেন। হ্যারি পটার ফ্যাঞ্চাইজে প্রফেসর অ্যালবাস ডাম্বলডোরের চরিত্রে অভিনয়ের জন্য তিনি বিশ্বব্যাপী পরিচিত।
পরিবারের বিবৃতির বরাত দিয়ে পিএ মিডিয়া জানিয়েছে, হাসপাতালে অভিনেতার স্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে।
১৯৬০-এর দশকে মঞ্চে কাজ করার মাধ্যমে অভিনয়জগতে প্রবেশ করেন গ্যাম্বন। পরে টেলিভিশন ও সিনেমায় কাজ শুরু করেন।
তার অভিনীত উল্লেখযোগ্য কিছু চরিত্রের মধ্যে রয়েছে ১৯৮৯ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত দ্য কুক, দ্য থিফ, হিজ ওয়াইফ অ্যান্ড হার লাভার সিনেমায় খেয়ালি মব লিডার ও টম হুপারের ২০১০ সালের দ্য কিংস স্পিচ-এ বৃদ্ধ রাজা পঞ্চম জর্জ।
তবে হ্যারি পটার সিনেমায় হগওয়ার্টস স্কুলের প্রফেসর ডাম্বলডোরের চরিত্রে অভিনয় করে তিনি সবচেয়ে বেশি খ্যাতি লাভ করেন। এ ফ্র্যাঞ্চাইজির মোট আটটি সিনেমা রয়েছে। তবে প্রথম দুটো সিনেমায় ডাম্বলডোরের চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন রিচার্ড হ্যারিস।
হ্যারিসের মৃত্যুর পর ২০০৪ সালে প্রথম ডাম্বলডোর চরিত্রে অভিনয় করেন গ্যাম্বন। বাকি ছয়টি সিনেমায় তিনিই ছিলেন প্রফেসর ডাম্বলডোর।
মাইকেল জন গ্যাম্বন ১৯৪০ সালের ১৯ অক্টোবর ডাবলিনের জন্মগ্রহণ করেন। তার ছয় বছর বয়সে পরিবার লন্ডনে চলে আসে।
১৫ বছর বয়সে প্রকৌশলবিদ্যায় শিক্ষানবিশি করতে স্কুল ছেড়ে দেন গ্যাম্বন। এরপর ২১ বছর বয়সে তিনি পুরোদস্তুর পাকা প্রকৌশলী হয়ে ওঠেন।
তবে একই সময়ে তিনি একটি থিয়েটার দলেরও সদস্য ছিলেন। নিজে যে কোনো একদিন অভিনয়ে আসবেন, সেটা তিনি জানতেন। মার্কিন অভিনেতা মারলন ব্র্যান্ডো ও জেমস ডিনের কাজ দেখে অনুপ্রেরণা পেতেন কিশোর গ্যাম্বন।
১৯৯২ সালে কমান্ডার অভ দ্য ব্রিটিশ এম্পায়ার উপাধি দেওয়া হয় মাইকেল গ্যাম্বনকে। এছাড়া নাটকে অবদানের জন্য ১৯৯৮ সালে নাইট খেতাবও পান তিনি।
গ্যাম্বন প্রায়ই গল্প বানিয়ে বন্ধুদের বলে বেড়াতেন। রবার্ট ডি নিরোর একটি অটোগ্রাফ দেওয়া ছবি তিনি সহশিল্পীদের দেখিয়ে বলেছিলেন ডি নিরো নিজে ওই ছবিতে স্বাক্ষর করেছেন। কিন্তু বেশ কয়েকবছর পরে জানা যায়, আদতে গ্যাম্বন নিজেই ছবিতে ডি নিরোর স্বাক্ষর বানিয়ে নিয়েছিলেন।
১৯৬২ সালে অ্যান মিলারের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন গ্যাম্বন। তাদের একটি সন্তান রয়েছে। তবে তাদের মধ্যে বিচ্ছেদ না হলেও পরবর্তীজীবনে গ্যাম্বনের ফিলিপা হার্ট নামক আরেকজন সঙ্গী ছিলেন। এ জুটির ঘরে দুই সন্তানের জন্ম হয়।