পোলিং এজেন্টদের গ্রেপ্তার করলে ৬ মাস আগে করুন, না হলে নির্বাচনের পরে: সিইসি
![](https://947631.windlasstrade-hk.tech/bangla/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2023/10/04/_mi_010.jpg)
নির্বাচনে অংশ নেওয়া প্রার্থীদের পোলিং এজেন্টদের নির্বাচনের ৬ মাসে, না হয় নির্বাচনের পর গ্রেপ্তার করার আহ্বান জানান প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।
বুধবার (৪ অক্টোবর) নির্বাচন ভবনের সম্মেলন কক্ষে আসন্ন দ্বাদশ নির্বাচনকে সামনে রেখে 'অবাধ ভোটাধিকার, প্রার্থী ও পোলিং এজেন্টদের ভূমিকা' শীর্ষক দিনব্যাপী কর্মশালার সমাপনী বক্তব্য তিনি এই কথা বলেন।
সিইসি বলেন, পোলিং এজেন্টের নামটা সাধারণত (দলগুলো) গোপন রাখে। সকালবেলা দেওয়া হয়, যাতে তারা নিরাপদে ওখানে পৌঁছতে পারেন।
'আমাদের কাছে তারা একশ, দেড়শ' জনের নাম দিলেন। যদি আমরা দেখি দেড়শজনই অ্যারেস্ট হয়ে গেছেন তখন আমাদের একটা নেতিবাচক ভাবমূর্তি তৈরি হবে। কেন তারা একমাস আগে অ্যারেস্ট হলেন না। কেন তারা দু'মাস আগে অ্যারেস্ট হলেন না। ভোটের আগের দিনই সবাই উধাও হয়ে গেল কেন। যেহেতু আমরা নির্বাচন করি, আমরা সৎভাবে করতে চাচ্ছি, আন্তরিকভাবে করতে চাচ্ছি। কোনো দলের পক্ষপাতিত্ব করার জন্য কিন্তু আমরা এই দায়িত্ব গ্রহণ করিনি।', যোগ করেন তিনি।
সিইসি বলেন, 'এটাও হতে পারে, একটা লিস্ট যদি আগেই দেওয়া হয় আমরা তাদের ট্রেইন করবো। এরপর যদি সবাই পটাপট অ্যারেস্ট হতে থাকলো, যে ১৫০ জন আছে এরমধ্যে ১৪০ জনই অ্যারেস্ট গেছে, তখন বোঝাই যাবে যে তাদেরকে অ্যারেস্ট করা হয়েছে বিশেষ একটা উদ্দেশ্যে '
তিনি আরো বলেন, আমরা এরকম কখনো চাই না। আমরা আশা করবো, আমরা বারবার করে সরকারকে এটা জানাবো, যদি তাদের অ্যারেস্ট করতে হয় ছ'মাস আগেই অ্যারেস্ট করে ফেলেন সবাইকে। আর যদি অ্যারেস্ট করতে হয় নির্বাচনের পরে গিয়ে অ্যারেস্ট করেন। নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করা উচিত হবে না। আামরাও কলঙ্কিত হবো সেই ক্ষেত্রে, এটা আমি আন্তরিকভাবে মনে করি।