ডেঙ্গুর টিকা প্রয়োগে নাইট্যাগের পরামর্শ চেয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর
দেশে ডেঙ্গু ভ্যাকসিনের প্রয়োগ নিয়ে জাতীয় টিকা সংক্রান্ত কারিগরি উপদেষ্টা কমিটির (নাইট্যাগ) পরামর্শ চেয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। কমিটির সুপারিশ পেলেই ভ্যাকসিন প্রয়োগের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবির।
বুধবার (৪ অক্টোবর) বিকালে এডিস সার্ভের ফলাফল নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
আহমেদুল কবির বলেন, সম্প্রতি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কিউডেঙ্গা টিকা প্রয়োগে ছাড়পত্র দিয়েছে। তবে একটি বয়সসীমার শর্তও দিয়েছে তারা। এই কিউডেঙ্গা ভ্যাকসিন নতুন কিছু নয়।
তিনি আরও বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার উপদেশ হলো এই ভ্যাকসিন দেওয়া যাবে। তবে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ছাড়পত্র দিয়েছে বলেই যে এটা আইডিয়াল ভ্যাকসিন, তা কিন্তু বলা যাবে না।
তিনি বলেন, কিউডেঙ্গা ছাড়াও ডেনভেক্সিয়া নামক আরেকটা ডেঙ্গু ভ্যাকসিন আছে। তবে সেটা স্ক্রিনিং ছাড়া প্রয়োগ সম্ভব নয়। এই টিকা ডেঙ্গুর মাত্র একটি ধরনের বিরুদ্ধে কার্যকর। যারা আগে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়নি, তাদের জন্য এই ভ্যাকসিনটি নিরাপদ নয়। এ ছাড়াও ৯ বছরের কম বয়সী শিশুরা এই ভ্যাকসিনের উপযুক্তও নয়।
আহমেদুল কবির বলেন, ভ্যাকসিনের বিষয়ে আমরা জাতীয় টিকা সংক্রান্ত কারিগরি উপদেষ্টা কমিটিকে (নাইট্যাগ) বলেছি। আমরা ডেঙ্গুর ভ্যাকসিনের বিষয়ে পরামর্শ/সুপারিশ ছাড়া কোনো সিদ্ধান্ত দিতে পারব না।
নাইট্যাগ বলেছে, তারা দ্রুত একটা মিটিং করে সিদ্ধান্ত জানাবে। তারা যদি পরামর্শ দেয়, তাহলে আমরা বসে একটা সিদ্ধান্ত নেব।
ডেঙ্গু সংক্রমণ কবে কমবে- এমন প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক বলেন, তাপমাত্রা না কমলে হয়তো ডেঙ্গু সংক্রমণটা কমবে না। ডেঙ্গুটা এখন তাপমাত্রার ওপর নির্ভরশীল। বৃষ্টি না থামলে কমার সম্ভাবনা দেখছি না। ডেঙ্গু সংক্রমণ প্রকৃতির ওপর নির্ভরশীল না হলেও এডিস মশার বংশ বৃদ্ধিটা ঠিকই প্রকৃতির ওপর নির্ভর করছে।
ডেঙ্গুতে নারীদের বেশি মৃত্যুর কারণ প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, বেশ কিছু কারণে নারীদের মৃত্যুর হার বেশি পাচ্ছি। প্রথমত আমাদের নারীরা যেকোনো কারণেই হাসপাতালে দেরি করে এসেছে। আরেকটি বিষয় হলো এবছর গর্ভবতী মায়েরা অনেক বেশি ডেঙ্গু আক্রান্তের ইতিহাস পাওয়া গেছে, আপনারা জানেন গর্ভবতী মায়েরা ডেঙ্গুতে একটু বেশি ঝুঁকিপূর্ণ, যেকারণে এবার অনেক বেশি তাদের মৃত্যু হয়েছে।