আরো পাঁচ কোম্পানিকে ৫ কোটি ডিম আমদানির অনুমতি
স্থানীয় বাজারে দাম কমাতে আরও পাঁচটি কোম্পানিকে ৫ কোটি ডিম আমদানির অনুমতি দিয়েছে সরকার।
রবিবার (৮ অক্টোবর) বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা হায়দার আলী নিশ্চিত করেছেন যে, পাঁচটি কোম্পানিকে এক কোটি করে ডিম আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
যেসব কোম্পানিকে অনুমতি দেওয়া হয়েছে সেগুলো হলো: ইউনিয়ন ভেঞ্চার লিমিটেড, জেএফজে প্যারাডাইস কানেকশন, লায়েক এন্টারপ্রাইজ, মেসার্স ল্যাকি এন্টারপ্রাইজ এবং মেসার্স পিঙ্কি ট্রেডার্স।
কয়েক মাস আগে ডিমের বাজার অস্থির হয়ে উঠলেও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বাজার মনিটরিংয়ের ঘোষণা দিলে দাম কিছুটা কমতে শুরু করে। ডিমের দাম বেড়ে ১৫ টাকা পর্যন্ত হয়েছিল। পরবর্তীতে সরকার ডিমের দাম নির্ধারণ করেছে ১২ টাকা।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী এস এম রেজাউল করিম বলেছেন, খুচরা পর্যায়ে ডিমের দাম প্রতি পিস ১২ টাকার বেশি হওয়া উচিত নয়, কারণ প্রতি ডিমের উৎপাদন খরচ প্রায় ১০ টাকা ৫০ টাকা।
ডিম উৎপাদনকারীরা জানান, মহামারির আগে দেশে ডিমের দৈনিক উৎপাদন ছিল প্রায় পাঁচ কোটি পিস। কিন্তু মহামারি চলাকালীন দীর্ঘস্থায়ী লোকসানের কারণে অনেক খামার বন্ধ হয়ে গেছে।
বাংলাদেশ পোল্ট্রি ইন্ডাস্ট্রি সেন্ট্রাল কাউন্সিল বলেছে, অনেক লেয়ার ফার্ম বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বর্তমান দৈনিক ডিম উৎপাদন চার কোটি পিসের নিচে নেমে এসেছে।
উৎপাদকদের মতে, বিভিন্ন উপকরণের দাম বাড়ায় ফিডের দাম বেড়েছে, এতে উৎপাদন খরচ বেড়েছে।