শিক্ষকদের কর্মবিরতিতে অচল খুকৃবি
খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের কর্মবিরতিতে অচল হয়ে পড়েছে শিক্ষাকার্যক্রম। শিক্ষকদের দাবি, দ্রুত নিয়োগ সংক্রান্ত জটিলতা ও প্রমোশন চালু না হলে তারা শ্রেণীকক্ষে ফিরবেন না।
সোমবার থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য ক্যাম্পাসের ডিন ও বিভাগীয় অফিসের কাজ বন্ধ রাখার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। এর আগে গত ৭ অক্টোবর থেকে মানববন্ধনের মাধ্যমে তারা অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতির ঘোষণা দেন, যা এখনো বহাল রয়েছে।
শিক্ষকদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, ২০২২ সালের ৩ আগষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭৩ জন শিক্ষকের নিয়োগ বাতিলের ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা দেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়। পরে মন্ত্রণালয় থেকে একটি বিশেষ কমিটির মাধ্যমে পূণর্মূল্যায়নের জন্য কমিটি করা হয়।
শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ড. মো. আশিকুল আলম বলেন, 'পূণর্মূল্যায়ন কমিটি ৭৩ জনের ফাইল ও নিয়োগের বৈধতা যাচাই করেছে। দুই মাস ধরে প্রতিবেদনটি মন্ত্রণালয়ে পড়ে আছে। যার ফলে আমরা প্রতিনিয়ত সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন হচ্ছি এবং হতাশায় ভুগতেছি। অবিলম্বে শিক্ষকদের এই সমস্যা নিরসনের জন্য আবেদন জানাচ্ছি।'
অন্যদিকে দীর্ঘ ১১ মাস ধরে স্থগিত রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩৯ জন প্রভাষকের পর্যায়োন্নয়ন।
খুকৃবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি মো. আসাদুজ্জামান বলেন, 'আসলে কয়েকজন ব্যক্তি এই জটিলতা সৃষ্টির জন্য দায়ী। আমাদের ৩৯ জন শিক্ষকের পদোন্নয়ন হচ্ছে না এই জটিলতার জন্য। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন থেকে শুরু করে মন্ত্রণালয়ের কর্তাব্যক্তিরা আমাদের এই সমস্যাটাকে খুব একটা আমলে নিচ্ছেন না।'
বিশ্ববিদ্যলয়ের বর্তমান পরিস্থিতি উত্তরণে বিষয়ে জানতে চাইলে উপাচার্য অধ্যাপক ড. আবুল কাশেম চৌধুরী বলেন, 'মন্ত্রনালয়ের পূণর্মূল্যায়নের কমিটি প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। আশা করছি খুবই দ্রুত তা অনুমোদন হয়ে যাবে। দ্রুত সব সমস্যা নিরশনের জন্য আমি চেষ্টা করছি।'