খালি হাতে ধবংসস্তূপ সরাতে হচ্ছে, আটকে পড়াদের আহাজারিতেও উদ্ধার করা যাচ্ছে না
গাজার আবাসিক অ্যাপার্টমেন্ট ও বসতবাড়িগুলো বোমা ও গোলার আঘাতে গুঁড়িয়ে দেওয়া অব্যাহত রেখেছে দখলদার ইসরায়েল। গতরাতে রাফাহ ও খান ইউনিস এলাকায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় নিহতের সংখ্যা ৮০ জনে পৌঁছেছে।
বিধ্বস্ত ভবনগুলোর নিচে রয়েছে শত শত মৃতদেহ। পর্যাপ্ত সরঞ্জামের অভাবে, গাজার বাসিন্দারা খালি হাতেই ধবংসস্তূপ খুড়ে মৃতদের বাইরে আনছেন, দাফনের চেষ্টা করছেন। ধবংসস্তূপে নারী, শিশুসহ আরও অনেকেই আটকা পড়েছে। ধবংসস্তূপ থেকে ভেসে আসছে আটকে পড়াদের বাঁচার আকুতি। কিন্তু, তাদের উদ্ধারের উপায় না থাকায়– শোক বিহ্বল উদ্ধারকারীরা।
'ধবংসস্তূপের নিচ থেকে মানুষের চিৎকার শুনতে পাচ্ছি, কিন্তু কিছুই করতে পারছি না'
ইসরায়েলের টানা বোমাবর্ষণের মধ্যে গাজার একজন চিকিৎসক আহমেদ শাহিন সেখানকার পরিস্থিতির বর্ণনা দিয়েছেন।
বসনিয়ার স্বাধীন গণমাধ্যম ইসট্রেগা'কে শাহিন বলেন, 'পরিস্থিতি আরও ভয়াবহতার দিকে যাচ্ছে। প্রতিমুহুর্তে আরও অবনতি হচ্ছে। গাজার ওপর বিরতিহীনভাবে বোমা ফেলা হচ্ছে, এক মুহূর্তের জন্যেও তা বন্ধ হচ্ছে না। তারা সব দিক দিয়ে– বিমান থেকে , সাগরে অবস্থানকারী যুদ্ধজাহাজ থেকে এবং স্থলপথে কামান থেকে বোমা/গোলাবর্ষণ চালিয়ে যাচ্ছে।'
'এরইমধ্যে ধবংস হওয়া ভবনগুলোর মধ্যে আটকে পড়া মানুষকে বাঁচানো যাচ্ছে না। আমরা তাদের অসহায় চিৎকার, আকুতি শুনতে পারছি, কিন্তু তাদের উদ্ধারে কিছুই করতে পারছি না। এদিকে হাসপাতাল আহত, নিহতদের দিয়ে ভরে গেছে। মৃতদেহ সংরক্ষণের জন্য হাসপাতালে কোনো হিমায়িত সুবিধা নেই। এই বিভীষিকা ভাষায় প্রকাশ করা যাবে না।'
তিনি আরও বলেন, 'মানুষের খাবার পানি নেই, বিদ্যুৎ নেই। পানি না থাকার অভাবটাই সবচেয়ে ভোগাচ্ছে। পান করা বা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন হওয়ার মতো পানিও নেই।'