ইসরায়েল-ফিলিস্তিন যুদ্ধে নিহত ৩১ সাংবাদিক
চলমান ইসরায়েল-ফিলিস্তিন যুদ্ধে ৩১ জন সাংবাদিক নিহত হয়েছে৷ নিউ ইয়র্কভিত্তিক গ্রুপ দ্য 'কমিটি টু প্রজেক্ট জার্নালিস্ট' এর পক্ষ থেকে এমন তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে।
নিহত হওয়া সাংবাদিকদের মধ্যে ২৬ জন ফিলিস্তিনের, চারজন ইসরায়েলের আর একজন লেবাননের। একইসাথে আটজন সাংবাদিক আহতের তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে৷
অন্যদিকে রিপোর্টে নয় জন সাংবাদিক নিখোঁজ কিংবা বন্দী থাকার দাবি করেছে। গ্রুপটির পক্ষ থেকে জানানো হয়, ১৯৯২ সাল থেকে অন্য যে কোনও সংঘাতের তুলনায়ই এই যুদ্ধের প্রথম সপ্তাহে বেশি সংখ্যক সংবাদকর্মী নিহত হয়েছে৷
গাজায় প্রতিনিয়ত বিমান হামলায় নিহত হচ্ছে শত শত বেসামরিক নাগরিক। এমনকি প্রতি ১০ মিনিটে গড়ে একজন শিশু নিহত হচ্ছে।
এমনটাই জানিয়েছে শিশুদের নিয়ে কাজ করা বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা সেইভ দ্য চিলড্রেনের ফিলিস্তিনের শাখা। ঐ শাখার একজন কর্মকর্তা জ্যাসন লি।
জেরুজালেম থেকে সাক্ষাৎকার প্রদানকালে লি বলেন, "গত ৭ অক্টোবর থেকে ইসরায়েলের হামলায় প্রায় ২০ হাজার বেসামরিক নাগরিক আহত হয়েছে। এদের মধ্যে গড়ে তিনজনের একজন শিশু।"
এদিকে, ইসরায়েলের নিষেধাজ্ঞার ফলে গাজায় তৈরী হয়েছে তীব্র মানবিক সংকট। ২০ লাখেরও বেশি মানুষের এই অঞ্চলটিতে চলছে খাদ্য, পানি ও যোগাযোগ সুবিধা প্রাপ্তির জন্য তীব্র হাহাকার।
অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল ও হিউম্যান রাইটস ওয়াচের মতো আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলো বলছে, গাজায় যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেলে অবরুদ্ধ এলাকাটিতে যুদ্ধাপরাধসহ নানান ধরনের অপরাধের প্রবণতা আরও বাড়বে এবং সেগুলোর কোনো রেকর্ড রাখাও সম্ভব হবে না
সেভ দ্য চিলড্রেনের মতে, গাজায় ইসরায়েলের অব্যাহত বোমাবর্ষণে প্রতিনিয়তই শিশুমৃত্যু বাড়ছে। সংস্থাটির এক বিশ্লেষণ অনুযায়ী, গত ৭ অক্টোবর গাজায় ইসরায়েলের হামলা শুরুর পর থেকে সেখানে নিহত শিশুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩,১৯৫ জনে; যা ২০১৯ সালের পর থেকে বিশ্বজুড়ে বার্ষিক সংঘাতে নিহত শিশুদের মোট সংখ্যার চেয়ে বেশি।
শুধু বিমান হামলা নয়, বরং গাজায় স্থল অভিযানের মাত্রাও বাড়াচ্ছে ইসরায়েল। এমতাবস্থায় ইউরোপ, মধ্যপ্রাচ্য ও এশিয়াজুড়ে শহরে শহরে ফিলিস্তিনের প্রতি সমর্থন জানিয়ে হাজার হাজার মানুষ বিক্ষোভ ও মিছিল করেছে।
এরমধ্যে সবচেয়ে বড় বিক্ষোভের একটি হয়েছে লন্ডনে। সেখানে দেশটির বিক্ষোভকারীরা প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাকের সরকারের কাছে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়ে বিশাল মিছিল করেছে।