বগুড়ায় অবরোধে বিএনপি- যুবলীগের সংঘর্ষে পুলিশসহ আহত ২৪
বিএনপি-জামায়াত ও সমমনা দলের ডাকা পঞ্চম দফার অবরোধে প্রথম দিনে বগুড়ার শেরপুরে সংঘর্ষে পুলিশ সদস্যসহ ২৪ নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন। আজ বুধবার (১৫ নভেম্বর) বেলা ১২টার দিকে উপজেলার হাসপাতাল রোডের মোড়ে বিএনপি ও যুবলীগের মধ্যে এই সংঘর্ষ হয়।
সংঘর্ষে আহত বিএনপি ও যুবলীগের নেতা-কর্মীদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি। আহত পুলিশ সদস্যরা হলেন, শেরপুর থানার ওসি বাবু কুমার সাহা, এসআই হাসান, কনস্টেবল মো. শামীম, মো. রেজাউল, মো. আলফাজ।
স্থানীয় সূত্রে জানায়, সকালে অবরোধের সমর্থনে জেলা বিএনপির উপদেষ্টা ও সাবেক সংসদ সদস্য জি এম সিরাজের নেতৃত্বে একটি মিছিল বের হয়। মিছিলটি হাসপাতাল রোডের মোড়ের সামনে পৌঁছালে সেখানে উপজেলা যুবলীগের একটি মিছিল উপস্থিত হয়। দুই দলের মিছিল সামনা-সামনি হলে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে। এ সময় সেখানে প্রায় আধাঘণ্টা ধরে ধাওয়া পাল্টা-ধাওয়া চলে।
পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বেশ কয়েকটি টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে। এ সংঘর্ষে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের ১২ নেতা-কর্মী আহত হন। অপরদিকে যুবলীগের ৭ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
সংঘর্ষের বিষয়ে উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম মিন্টু অভিযোগ করে বলেন, 'আমরা শান্তিপূর্ণভাবে মিছিল করছিলাম। হাসপাতাল রোড এলাকায় এলে যুবলীগের লোকজন পিছন থেকে এসে আমাদের ওপর হামলা চালায়। আমরা ঘুরে প্রতিহত করার চেষ্টা করতেই পুলিশ টিয়ারশেল ছুঁড়তে শুরু করে। এতে আমাদের ১২ জন আহত হয়েছেন।'
তবে সংঘর্ষের জন্য বিএনপিকেই দায়ী করেন উপজেলা যুবলীগের সভাপতি তারিকুল ইসলাম তারিক। তিনি বলেন, 'বিএনপি প্রথমে আমাদের দিকে ইটপাটকেল ছুঁড়ে হামলা করে। তারপর আমাদের লোকজন প্রতিহত করতে গেলে সংঘর্ষ বাঁধে। এতে আমাদের অন্তত ৭ জন আহত হন।'
শেরপুর থানার ওসি বাবু কুমার সাহা বলেন, 'বিএনপি ও যুবলীগের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধলে পুলিশ টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে ছত্রভঙ্গ করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গিয়ে পাঁচ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন, আমিও আহত হয়েছি। এ ছাড়া আরও ১০ জনের আহত হওয়ার খবর পেয়েছি।'