কেন নেইমারকে নিয়ে ২০২৬ বিশ্বকাপ জেতার পরিকল্পনা করতে পারবে না ব্রাজিল
২০০২ সালে সর্বশেষ বিশ্বকাপ জিতেছে ব্রাজিল। এরপর পাঁচটি বিশ্বকাপ চলে গেলেও একবার সেমি-ফাইনাল খেলা ছাড়া ফাইনালে উঠতে পারেনি সেলেসাওরা। সেই সেমি-ফাইনালেও ঘরের মাঠে জার্মানির কাছে বিশ্বকাপ ইতিহাসের সবচেয়ে লজ্জাজনক হার সঙ্গী হয়েছিল পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের।
ব্রাজিলের কাঁটা গায়ে নুনের ছিটা হিসেবে যোগ হয়েছে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী আর্জেন্টিনার ৩৬ বছর পর বিশ্বকাপ জয়। ২০২৬ সালের বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হবে যুক্তরাষ্ট্রে। যেখানে ১৯৯৪ বিশ্বকাপ জেতার অভিজ্ঞতা রয়েছে ব্রাজিলের। ২০২৬ বিশ্বকাপে সেটির পুনরাবৃত্তি করতে হলে ব্রাজিলকে পরিকল্পনা সাজাতে হবে এখন থেকেই।
আর সেই পরিকল্পনা থেকে বাদ দিতে হবে নেইমারকে! ব্রাজিলের সর্বকালের সর্বোচ্চ গোলদাতাকে ছাড়াই বিশ্বকাপ জেতার তরিকা বানাতে হবে সেলেসাওদের। কিন্তু কেন নেইমারকে ছাড়াই করতে হবে সেই পরিকল্পনা? উত্তরটা সহজ। ২০২৬ বিশ্বকাপ শুরু হবার সময় নেইমারের বয়স ৩৪ ছাড়িয়ে পড়বে ৩৫ এ। যে পরিমাণে চোটাক্রান্ত হচ্ছেন তিনি, এখনও মাঠের বাইরে আছেন অস্ত্রোপচার করে। যা থেকে ফিরতে সময় লাগবে আট থেকে দশ মাস।
চোট সমস্যা, ফিটনেসহীনতার সমস্যা মিলিয়ে নেইমার ২০২৬ বিশ্বকাপে ব্রাজিলের প্রধান অস্ত্র হতে পারবেন না, এটা মোটামুটি নিশ্চিত। যদি ব্রাজিল তাকে ঘিরে নিজেদের প্রথম একাদশের পরিকল্পনা করে তাহলে সেটি হবে আত্মঘাতী। বিশেষ করে তাদের হাতে যেখানে ভিনিসিয়ুস জুনিয়র ও রদ্রিগোর মতো আক্রমণভাগের তারকারা আছেন। আর্সেনালের গ্যাব্রিয়েল মার্টিনেল্লি ইতোমধ্যে নেইমারের জায়গা নিতে প্রস্তুত।
২০২৬ বিশ্বকাপ শুরু হওয়ার আগে এন্ড্রিকের মতো ভবিষ্যত তারকারাও তৈরি হয়ে যাবেন বলে আশা করা যায়। ভিতর রোকেও আছেন এই তালিকায়। সবমিলিয়ে আক্রমণভাগে নেইমার এখনই ব্রাজিল দলে আর অপরিহার্য নন। ২০২৬ বিশ্বকাপে তো সেটি আরোই থাকবেন না। তাই পরবর্তী বিশ্বকাপের আগেই নেইমারকে পরিকল্পনা থেকে বাদ দেওয়া জরুরি ব্রাজিলের জন্য।