নারায়ণগঞ্জে নির্বাচনী বাকবিতণ্ডা থেকে ট্যাঁটাযুদ্ধ, আহত ১২
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে নির্বাচনী বাকবিতণ্ডা থেকে দুই পক্ষের মধ্যে ট্যাঁটাযুদ্ধের ঘটনা ঘটেছে। সংঘর্ষে অন্তত ১২ জন আহত হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে।
বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) সকাল ৯টায় সোনারগাঁও উপজেলার বারদী ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের নূনেরটেক এলাকায় এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে সোনারগাঁও থানা পুলিশের দুটি টিম গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। সংঘর্ষের পর পুরো এলাকায় থমথমে পরিবেশ বিরাজ করছে।
স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, নূনেরটেক এলাকায় ইউপি সদস্য ওসমান গণির সঙ্গে সাবেক ইউপি সদস্য শুক্কুর আল মাহমুদের বিরোধ রয়েছে। বুধবার রাতে একটি দোকানে আড্ডা দেওয়ার সময় আওয়ামী লীগের প্রার্থী আবদুল্লাহ আল কায়সারের মনোনয়ন নিয়ে কথা ওঠে। এ সময় ওসমান গনির ছেলে মেহেদি ও জাকারিয়ার সাথে শুক্কুর মাহমুদের অনুসারী বাবুলের তর্ক হয়।
সেই তর্কের জের ধরে সকালে উভয় পক্ষের লোকজন ট্যাঁটাযুদ্ধে জড়িয়ে পড়েন। এতে ওসমান গনির ছেলে মেহেদীসহ অনুসারী রমিজ উদ্দিন, মোসলেহ উদ্দিন, চান বাদশা, বাহাউদ্দিন, স্বপন, মোক্তার আহত হন। অন্যদিকে শুক্কুর মাহমুদের অনুসারী কামরুল ইসলাম, ওমর আলী, আবদুল হক, হামিদ আলী, দেলোয়ার ট্যাঁটাবিদ্ধ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।
সংঘর্ষের বিষয়ে ইউপি সদস্য সদস্য ওসমান গনি বলেন, 'বুধবার রাতে আমার নাতি নৌকার পক্ষে স্লোগান দিলে তাকে শুক্কুরের লোকজন মারধর করে। এর প্রতিবাদ করলে তারা ট্যাঁটা নিয়ে হামলা চালায়। আমার প্রায় সাতজন অনুসারী আহত হয়েছে।'
অন্যদিকে শুক্কুর মাহমুদ বলেন, 'ওসমান মেম্বারের সমর্থক জাকারিয়া জাতীয় পার্টির নেতা। সে ৬ নম্বর ওয়ার্ড জাপার সভাপতি। সোনারগাঁও আসনে আবদুল্লাহ আল কায়সার মনোনয়ন পেলেও সে মনোনয়ন ধরে রাখতে পারবে না, এই মন্তব্য নিয়ে রাতে তর্কবিতর্ক হয়। সকালে তারা আবার হামলা চালায়, আমার অন্তত পাঁচজন সমর্থক আহত হয়েছেন।'
এই বিষয়ে সোনারগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুব আলম বলেন, 'সংঘর্ষের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। আহতদের মধ্যে দুজন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছে শুনতে পেরেছি। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে। জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।'