ব্যাংকে মাত্র ১৫০০ টাকা নিয়ে ভোট করছেন সুপ্রিম পার্টির প্রার্থী কবির মিয়া
নগদ টাকা নেই, ব্যাংকে আছে মাত্র ১ হাজার ৫০০ টাকা। তারপরেও দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন কবির মিয়া। বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির (বিএসপি) মনোনয়ন নিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬ (বাঞ্ছারামপুর) আসন থেকে লড়ছেন তিনি। পেশায় ব্যবসায়ী এই প্রার্থীর মাসিক আয় ৩০ হাজার টাকা। তবে নগদ টাকা না থাকলেও আছে ১০ ভরি স্বর্ণ।
নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে দাখিল করা হলফনামা থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
কবির মিয়া বলেন, 'আমাদের ছোট দল। আমাদের দলের অন্য যারা প্রার্থী হয়েছেন, তারাও অর্থনৈতিকভাবে খুব বেশি স্বচ্ছল না। তাছাড়া, আমাদের নির্বাচনে বেশি টাকা খরচ হবে না।'
তিনি আরও বলেন, 'নির্বাচনে আমার বাজেট ৩ লাখ টাকার মতো। আমার বড় ভাই এবং আত্মীয়-স্বজনরা টাকাপয়সা দিয়ে সহযোগিতা করবে। এ ছাড়া আমার ব্যবসার লাভ থেকেও কিছু টাকা ব্যয় করব। আওয়ামী লীগের ছাড়া অন্য যারা প্রার্থী আছেন, তাদের তুলনায় নিজেকে আমি শক্ত প্রার্থীই মনে করছি। আশা করছি, ভোটের ফল ভালো পাব।'
হলফনামায় দেয়া তথ্যমতে, সুপ্রিম পার্টির প্রার্থী কবির স্ব-শিক্ষিত। তার বাড়ি বাঞ্ছারামপুর উপজেলার সলিমগঞ্জ ইউনিয়নের জয়নগর গ্রামে। কবিরের নিজের এবং তার উপর নির্ভরশীলদের আয়ের একমাত্র উৎস ব্যবসা। তবে তিনি কী ব্যবসা করেন- সেটি হলফনামায় উল্লেখ করেননি।
ব্যবসা থেকে বছরে তার আয় ৩ লাখ ৬০ হাজার টাকা। এ ছাড়া ৫০ হাজার টাকা মূল্যের বিভিন্ন ইলেক্ট্রনিক পণ্য এবং ৫০ হাজার টাকার আসবাবপত্র দেখানো হয়েছে অস্থাবর সম্পদ হিসেবে। আর স্থাবর সম্পত্তি হিসেবে মাত্র ৯ শতাংশ কৃষিজমির কথা হলফনামায় উল্লেখ করেছেন কবির। তবে তার কোনো দায় নেই।