দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ-আর্থিক খাতে দক্ষতা বৃদ্ধিসহ ১১ বিষয়ে অগ্রাধিকার আ.লীগের ইশতেহারে
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে ইশতেহার ঘোষণা করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। আজ (বুধবার) দলীয় সভানেত্রী শেখ হাসিনা সোনারগাঁও হোটেলে এটি ঘোষণা করবেন।
ইতিমধ্যেই জাতীয় সংগীতের মধ্যে দিয়ে অনুষ্ঠানটি শুরু হয়েছে। আওয়ামী লীগের এবারের নির্বাচনী ইশতেহারে এবার মোট ১১টি বিষয়ে বিশেষ অগ্রাধিকার দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। সেগুলো হলো,
১. দ্রব্যমূল্য ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে রাখার সর্বাত্মক প্রচেষ্টা।
২. কর্মোপযোগী শিক্ষা ও যুবকদের কর্মসংস্থান।
৩. আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর স্মার্ট বাংলাদেশ।
৪. সমন্বিত কৃষি ব্যবস্থা, যান্ত্রিকীকরণ ও প্রক্রিয়াজাতকরণে বিনিয়োগ বৃদ্ধি।
৫. দৃশ্যমান অবকাঠামো বৃদ্ধি করে শিল্পের প্রসার।
৬. ব্যাংকসহ আর্থিক খাতে দক্ষতা ও সক্ষমতা বৃদ্ধি।
৭. নিম্ন আয়ের মানুষের স্বাস্থ্যসেবা সুলভ।
৮. সর্বজনীন পেনশনে সকলকে যুক্ত করা।
৯. আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কার্যকারিতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত।
১০. সাম্প্রদায়িকতা, সন্ত্রাস ও জঙ্গীবাদ রোধ।
১১. সর্বস্তরে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা সুরক্ষা ও চর্চার প্রসার ঘটানো।
এ ছাড়াও তৃতীয় লিঙ্গের মানুষদের মৌলিক অধিকার নিশ্চিতেও জোর দেবে আওয়ামী লীগ। ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত করার জন্য প্রধানমন্ত্রীর লক্ষ্যমাত্রা বাস্তবায়নের বিষয়গুলো ইশতেহারে স্থান পেয়েছে।
প্রসঙ্গত, ২০০৮ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের ইশতেহারের স্লোগান ছিল 'দিন বদলের সনদ'। এরপর ২০১৪ সালে ছিল 'এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ'। ২০১৮ সালে মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী দলটির ইশতেহারে স্লোগান ছিল, 'সমৃদ্ধির অগ্রযাত্রায় বাংলাদেশ'।